সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে আপন তিন ভাই ও
ভাতিজাদের মারপিঠে নুরুল আমিন(৬০) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নিহতের ছোট ছেলে বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত
আরও আসামী করে এ মামলা করেন। মামলার বাদী তাসকিরুল
ইসলাম উপজলোর দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন শ্রীপুর গ্রামের নুরুল আমিন(৬০)এর
ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার(১৯ জানুয়ারী) সকাল ৮টায় উপজলোর দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের
শ্রীপুর গ্রামের হত্যার ঘটনাটি ঘটে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
তিনি আরও জানান,বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর
সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এশার নামাজের পর রাত সাড়ে
আটটায় নিজ গ্রামে জানাজা নামাজ শেষে গ্রামের কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনও কাউকে
আটক করা সম্ভব হয়নি।
নিহত নুরুল আমিন(৬০)এর সৎ ভাই শাহ জালাল ও প্রতিবেশীরা জানান উপজলোর
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত তাহের আলীর দুই পরিবারের
মধ্যে এক পরিবারে চার সন্তান ও অপর পরিবারে দু সন্তান রয়েছে। নুরুল
আমিন(৬০),নুরুল হক(৭০),শাহ আলম(৫০),শাহজাহান (৫৫) চার ভাই। র্দীঘ দিন ধরে
পিতার সম্পত্তির ভাগ না দেওয়া নিয়ে নুরুল আমিনের সাথে ঝগড়া লেগইে থাকত
তার আপন অপর তিন ভাইদের মধ্যে। একাধিক বার বিচার শালিসি হলেও কোনো সমাধান
হয়নি। কিছু দিন র্প‚বে নুরুল আমিনের বোরো জমি নষ্ট করে ভাই নুরুল
হক(৭০),শাহ আলম(৫০),শাহজাহান (৫৫)তাদের ছেলে মেয়েরা। বৃহস্পতিবার সকাল
৮টায় নজি বাড়েিত নুরুল আমিনের অপর সৎ ভাই শাহ পরান বাড়িতে নতুন ঘরে পাল্লা
লাগাতে গেলে বাধা দেয় নুরুল হক(৭০),শাহ আলম(৫০),শাহজাহান (৫৫)তাদের ছেলে
মেয়েরা। এসময় নুরুল আমিন বলেন তারার বাপের জায়গায় তারারে বাড়ি করতে দে
ঝগড়া করে কি লাভ। এনেয়ে ও র্প‚ব সম্পত্তি নিয়ে বিরোধরে জের ধরে
কথা-কাটাকাটি এক র্প্রযায়ে নুরুল হক,শাহ আলম ও শাহজাহান ও তাদরে ছেেলে
মেয়েরা মিলে লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে নরিুল আমিনকি। এসময়
পরবিাররে অন্যান্য সদস্যরা বাধাদিলিও থামাতে পারেনি। এক র্প্রযায়ে নুরুল
আমিনকে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে পরিবার লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজলো
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষর্দশী নিহতরে সম্পকে ছোট ভাই বৌ নাসরিন বেগম জানান,আমার চোখরে
সামনে কলিগুষি লাতি মেরে হত্যা করেছে নুরুল হক(৭০),শাহ
আলম(৫০),শাহজাহান(৫৫) ও তাদের ছেলেরা। এসময় পরিবারের অন্যান্যরা এগিয়ে
এসে বাঁধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি সব শেষ।