
২০২২-১১-১৯ ১০:০৪:২০ / Print
নির্জন জায়গা থেকে রাতের আঁধারে সন্তান সম্ভবা এক পাগলি মায়ের প্রসববেদনার চিৎকারে ভারি করে তুলছিল পরিবেশ। চিৎকারের শব্দ শুনে বাজারের পাহারাদার মধ্যনগর থানা পুলিশকে খবর দেয়।
পরে ছুটে আসেন মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক। দেখেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন পাগলির এক ছেলে সন্তান প্রসব করেছে। আর এমনি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় সদর বাজারে। পাগলী মা হলেও বাবা হয়নি কেউ।
ফুটফুটে নিষ্পাপ ছেলে শিশুটি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মিটিমিটি হাসছে সে জানেনা তার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা। ঘটনাটি উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার মধ্যনগর বাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী এক ছেলে সন্তান প্রসব করেন।
এখন মধ্যনগর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি আছেন তিনি। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,উপজেলার মধ্যনগর বাজারে প্রায় ৫-৬ মাস ধরে মানসিক অসুস্থ অবস্থায় মধ্যনগর বাজারের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। প্রসববেদনায় ওই নারীর চিৎকার শুনে বাজারের পাহারাদার মধ্যনগর থানা পুলিশকে খবর দেয়।
পরে মানবতার ফেরীওয়ালা মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক নবজাতকসহ তাকে রাতেই উদ্ধার করে মধ্যনগর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করেন। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন,মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর কাছে শিশুটির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। শিশুটির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অধিদফতরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হাসান খান বলেন,আমি আসলে বুঝতে পারছি না, মানবতাকারির কথা ভেবে গর্ববোধ করব, নাকি ওই নারীকে মা বানিয়ে দেয়া পিশাচটার কথা ভেবে লজ্জিত হব। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।