ধীরে ধীরে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে অসংখ্য বাড়িঘরে পানি এখনও রয়েছে। সেই সাথে ক্রমেই বেড়ে চলছে দুর্ভোগ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। জেলার সর্বত্রই বন্যার পানি কমতেই পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পানিবন্দি মানুষ ও পৌর শহরের বাসিন্দারা জানান, শহর থেকে পানি কমলেও এখন দুর্গন্ধের কারণে চলাফেরা করা যাচ্ছে না। এ ময়লা আবর্জনাগুলো দ্রæত অপসারণ দরকার। উত্তর আরপিন নগর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, শহর থেকে বন্যার পানি কমলেও নতুন করে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। শহরের চারদিকে এতটা গন্ধ যে বাসা থেকে বের হতে পারছি না।
পৌর শহরের নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা অসীম রায় বলেন, শহর থেকে পানি কমলে কী হবে? আমাদের দুর্ভোগ একটুও কমেনি। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া যায় না পঁচা গন্ধের কারণে। পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা জুবায়ের আহমেদ বলেন, বন্যার পানি বাড়িতে ঢুকে পড়ায় আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। কিন্তু পানি কমলেও এখন চারদিকে পঁচা গন্ধ।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে শহর পরিষ্কার শুরু করেছি। তবে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহম্মেদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি। ১২৩ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাবার স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ মজুত আছে।