বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ইংরেজী, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

পাঁচ দিন পর কফিনে থাকা লাশ দাফন করল গ্রামবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ

২০২২-০৬-২২ ১২:২০:৪১ /

এবারের বন্যায় ঘটেছে হৃদয় বিধায়ক ঘটনা যা হৃদয়ে দাগ কেটেছে সর্ব মহলে। স্বজনের খোঁজ নেই, কিংবা মৃত স্বজনের মরদেহ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছিলেন সুনামগঞ্জের লাখো বানভাসি মানুষ। পানিতে ডুবে থাকা কবরস্থানেও দেওয়ার মতো ভাসা জায়গা না পেয়ে পাঁচদিন পর দাফন করা হলো আশরাফ আলীর মরদেহ। শহরতলির সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের কবরস্থানের সামান্য অংশ ভেসে ওঠায় বুধবার (২২ জুন) দুপুরে তাকে দাফন করা হয়। বুধবার শহরতলির ইব্রাহিমপুরে মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের একটি দলকে। কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা লে. সাব্বির জানান, মরদেহ দাফনের জায়গা না পেয়ে পাঁচদিন ধরে মরদেহ নিয়ে বসে আছে দুটি পরিবার। তাদের সহায়তা করতে এসেছে কোস্টগার্ড। খোঁজ নিয়ে আরও জানাযায়,সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃত ব্যক্তির এক স্বজন (সনাতন ধর্মাবলম্বী) জানান,সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নাতিনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে একজন নারীর মৃত্যু হয়। তিনদিন পর মরদেহ সুনামগঞ্জের শ্রীপুরে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চারদিকে বন্যার পানি থাকায় তার মরদেহ দাহ করা যায়নি। তাই মরদেহ পাথর বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানাযায়। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন,গত শুক্রবার ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চারদিকে বন্যার পানি। কবর দেওয়ার মতো জায়গা নেই। সেজন্য বাবার লাশ কফিনে ঢুকিয়ে কবরে নিয়ে বাঁশ কোপে (খানিকটা খুঁড়ে) বেঁধে রেখেছি। সুরমা ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার গিয়াস উদ্দিন বলেন, মরদেহের কবর দেওয়ার মতো কোনো ভাসা জায়গা ছিল না। আজ পানি কমেছে। এজন্য একজনের কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরেকজনকে কাল কবর দেওয়া হবে। ওই গ্রামের সাজন মিয়ার মরদেহ পাঁচদিন ধরে কফিনবন্দি। কবরস্থানের অন্য অংশ ভেসে উঠলে সেখানে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) থেকে উজানের ঢল ও প্রবল বর্ষণে সুনামগঞ্জ শহরসহ প্রতিটি গ্রাম প্লাবিত হয়। শুক্রবার (১৭ জুন) ভোরের দিকে হঠাৎ করে ঢলের পানি চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় বাড়ি-ঘরসহ জনপদে প্রবেশ করতে থাকে। পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে একতলা ঘরবাড়ি মুহূর্তেই পানির নিচে চলে যায়। উঁচু কবরস্থান-শ্মশানেও গলা থেকে তার চেয়ে বেশি উঁচুতে পানি ছিল। এ অবস্থায় স্বজনদের মরদেহ কফিনে ঢুকিয়ে কবরে নিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন কেউ কেউ। জেলা আ,লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান,এবারের বন্যা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে মানুষজন। এরপর কয়েকটি ঘটনা হৃদয়ে দাগ কেটেছে। যা বলার ভাষা নেই।

এ জাতীয় আরো খবর

সুনামগঞ্জে ট্রাক  সিএনজি সংঘর্ষে একজন  নিহত

সুনামগঞ্জে ট্রাক সিএনজি সংঘর্ষে একজন নিহত

দিরাইয়ে শালিস না মেনে যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

দিরাইয়ে শালিস না মেনে যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

দিরাইয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের

দিরাইয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে শান্তিগঞ্জে সব ওলটপালট

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে শান্তিগঞ্জে সব ওলটপালট

জগন্নাথপুরে কবরস্থান দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

জগন্নাথপুরে কবরস্থান দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

 সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিজয়ী যারা

সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিজয়ী যারা