বন্যা কবলিত সুনামগঞ্জ শহরের প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকায় চার দিন পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা বিদুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান।
বন্যার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে সুনামগঞ্জের একের পর এক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। সোমবার বিদ্যুৎ আসে হাসপাতাল, কারাগার, ডিসি অফিস ও সদর থানাতেও।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা মশিউর বলেন, ‘শহরের ৫০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছি। গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোতে বিদুৎ দেওয়া হয়েছে। আরও এলাকায় দেওয়ার জন্য কাজ করছি। তবে যে এলাকার পানি এখনও নামেনি সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে না।’
সুরমার পানি সোমবার বিকেল ৫টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে সুনামগঞ্জে। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে সোমবার পানি কিছুটা কমেছে। তবে নিচু সড়ক ও ঘর-বাড়ি থেকে পানি এখনও নামেনি।
জেলার মানুষের চোখেমুখে হাহাকার। সবাই বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকায় কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারছে না। খাবার সংকটও প্রকট সেখানে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা প্রায় ৫ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেছি। গাড়ি দিয়ে ৬০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি দিয়েছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা বলেন, ‘নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে বইছে। বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। আশা করা যায় এই পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।’
বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে চুরি-ডাকাতি বা অপরাধমূলক অন্যান্য কর্মকাণ্ড যেন না ঘটে সেজন্য পুলিশ তৎপর আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।