উজান থেকে নেমে আসা পাহাড় ঢল টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ও দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও সাহায্য করতে কাজ করছে ৫টি টিম কাজ করছে।
এদিকে বন্যায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির।
রোববার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম পুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দ্বিজেন্দ্র কুমার তালুকদার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা শতাধিক পরিবারের লোকজনের মাঝে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করেন ইউএনও।
উপজেলার দক্ষিণকুল গ্রামের বাসিন্দা মোহন মিয়া জানান,যাদুকাটা নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঘরের ভেতরেও পানি প্রবেশ করছে,ঘর থেকে বের হবারও উপাই নেই। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এত বড় বন্যা আমার জীবনে প্রথম দেখলাম। চারদিকে পানি আর পানি।
এদিকে চরম অবনতি হওয়ায় হাওরের বাসিন্দা সহ সকল এলকায় আশ্রয়,খাবার ও বিশুদ্ধ পানিয় জলের অভাবে বানভাসি মানুষেরা বর্তমানে দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান,শফিকুল ইসলাম,সাদেক আলীসহ উপজেলার সচেতন মহল।
হাওর বেষ্টিত তাহিরপুর উপজেলার
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মোরাদ জানান,বন্যায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে আমার ইউনিয়নের মানুষ। আমার ইউনিয়নটি হাওর বেষ্টিত হওয়ার বন্যার পানি প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করছে। অনেক মাটির বাড়ি ঘর ভেঙে হাওরেই মিশেছে। রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে আমার ইউনিয়নে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কবির জানান,ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা গুলোতে প্রয়োজনীয় সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি কঠোর নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে। কন্টোলরোম ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন,হাওর পাড়ে গৃহবন্দি পরিবারকে উদ্ধার তৎপরতা ও বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। উপজেলা প্রশাসনের ৫টি টিম উপজেলাব্যাপী জন্য কাজ করছে।