সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ ছুটে চলছে হাওরাঞ্চলের লাখ লাখ। বৃহস্পতিবার রাতে বসত ঘরে কমর পানি থাকায় কোন রখমে রাত কাঠিয়ে আবার অনেকেই রাতেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ উচু বসত ঘরে, হোটেল,কমিউনিটি সেন্টার,আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা কবলিত কয়েক লাখ মানুষ।
শুকনো খাবার কলা,বিস্কুট,লোফ,কেক খেয়ে অবস্থান করছেন।
শুক্রবার জেলার সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে পাহাড়ী ঢলের পানি নিন্মাঅঞ্চলের দিকে নামছে। সেই সাথে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
জেলা শহরে রিক্সা চালক ইকবাল মিয়া জানান,নিচু এলাকায় বাড়া বাড়িতে থাকি সেই বাড়িতে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে এখন সালেহা মঞ্জিল দুতলা বাড়ির ছাদে উঠেছি। খেয়ে না খেয়ে কোন রখমে কষ্ট করে সময় পার করছি। সড়কে কোমর পানি রয়েছে রিক্সা নিয়ে চলা ত দুরের কথা জীবন বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে।
জেলার পৌর শহরের জামতলা এলাকার বাবুল মিয়া জানান, চোখের পলকেই বসত ঘরে পানি প্রবেশ করে। পরে জিনিসপত্র কোন রখমে রেখে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে উপরে তিন তলায় পরিবার পরিজন নিয়ে উঠেছে। এই এলাকা শুধু নয় ষোলগর,আরপিন নগর,নবীনগর,
হাসননগর,হাজিপাড়াসহ জেলা শহরের প্রতিটি এলাকায় একেই অবস্থা।
এমন কোন বাসা নেই যে বন্যা পানি কমর পর্যন্ত হয়েছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ চলে গেছে।
ষোলগর পবন কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে আলা উদ্দিন তিনি জানান,নবী নগর এলাকায় প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়ি ঘরে থাকার কোন উপায় নাই। যে বন্যা হয়েছে তা সকল রেকর্ড কে পিছনে ফেলে দিয়েছে। খুবেই দুরবস্থার মধ্যে আছি।
তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণকুল গ্রামের বাসিন্দা সাকিব আহমেদ জানান,এত বড় বন্যা আমার জীবনে প্রথম দেখলাম। চারদিকে পানি আর পানি। যাদুকাটা নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ঘরের ভেতরেও পানি প্রবেশ করছে,ঘর থেকে বের হবারও উপাই নেই।
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মোরাদ জানান,বন্যার চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে হাওরাঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ। আমার ইউনিয়নটি হাওর বেষ্টিত হওয়ার বন্যার পানি প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করছে। অনেক মাটির বাড়ি ঘর ভেঙে হাওরেই মিশেছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কবির জানান,ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা গুলোতে প্রয়োজনীয় সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি কঠোর নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে। কন্টোলরোম ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে।