২০২২-০৩-১৪ ০২:৪৭:১৬ / Print
পাকিস্তানকে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৯ রানে জিতে বিশ্বকাপে জয়ের খাতা খুললো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান করেছিল বাংলাদেশ।
জবাবে ২২৫ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান নারী দল। বৃথা গেল পাক ওপেনার সিদ্রা আমিনের সেঞ্চুরি। এ নিয়ে বিশ্বকাপে টানা ১৮ ম্যাচে হার দেখলো পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩৭ রান পায় বাংলাদেশ। উইকেটরক্ষক ব্যাটার শামীমা সুলতানা ১৭ রান করে ক্রিজ ছাড়লে জুটি ভাঙে। দ্বিতীয় উইকেটে শারমিন ও ফারজানার ৪২ রানের জুটিতে এগোতে থাকে টাইগ্রেসরা।
সাবলীল খেলতে থাকা শারমিন ৫৫ বলে ৬ চারে ৪৪ রান করে বিদায় নেন। এরপর নিগারকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৯৬ রানের দারুণ জুটি গড়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পাওয়ায় মুখ্য ভূমিকা রাখেন ফারজানা।
ফিফটির কাছাকাছি যাওয়া টাইগ্রেস অধিনায়কের বিদায়ের ভাঙে জুটি। ৬৪ বলে এক চারে ৪৬ রান করে তিনি ফাতিমা সানার বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন।
তিনে নামা ফারজানা ১১৫ বলে করেন ৭১ রান। যাতে ছিল ৫টি বাউন্ডারির মার। বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। শেষ ১০ ওভারে অবশ্য নিগারের দল ৫৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি, হারিয়েছে ৪ উইকেট।
প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু প্রথম দুটি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যায় তারা। এরপর ছয়দিন বিরতি শেষে আজ (১৪ মার্চ) নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামে বাঘিনীরা।
এতে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে নিগার সুলতানার দল। আজ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নারী দলের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সর্বোচ্চ ৭১ রান করেছেন ওয়ানডাউনে নামা ফারজানা হক। এছাড়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৪৬, শারমিন আক্তার ৪৪ ও শামিমা সুলতানা ১৭ ও রুমানা আহমেদ ১৬ রান করেন।
পাক বোলারদের মধ্যে নাসরা সান্ধু ৩টি এবং ফাতিমা সানা, নিধা দার ও ওমাইমা সোহাইল একটি করে উইকেট নেন। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার নাহিদা খান ও সিদরা আমিন। তাদের দুজনের জুটি থেকে এসেছে ৯১ রান।
আউট হওয়ার আগে ৪৩ রান করেন নাহিদা। অপর ওপেনার ১০৪ রান করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। রানআউটের শিকার হয়েছেন। পরে বিসমাহ মারুফ করেন ৩১ রান।
কিন্তু এটি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। পাকিস্তানের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ১৫৫ রানের সময় এবং তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে ১৮৩ রানে। এর পরই হঠাৎ ধস নামে তাদের ইনিংসে। ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশি বোলাররা।
একে একে তাদের ৯টি উইকেট তুলে নেয়। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন ফাহিমা খাতুন। এছাড়া রুমানা আহমেদ ২টি এবং জাহানারা আলম ও সালমা খাতুন একটি করে উইকেট নেন। বাকি দুটি রানআউট। সিলেটসানডটকম-এবিসি