মৌলভীবাজারের জুড়ীতে অগ্নিকান্ডে দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ একটি বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলার জুড়ী-ফুলতলা সড়কের পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামে ফাতেমা বেগমের বাসায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
শুরুতে স্থানীয়দের প্রচেষ্টা ও পরে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভায়। আগুনে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশী, পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তারা দুই মহিলা ও ৩ শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রন আসায় পাশ্ববর্তী ভবন গুলো সুরক্ষা পায়।
প্রায় আধ ঘন্টা পর কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে ঘন্টাখানেক প্রচেষ্টায় অবশিষ্ট আগুন নেভায়।
এ সময় ফায়ারকর্মীরা নগদ সাড়ে ৯ হাজার টাকা ও পুড়ে যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে মালিকপক্ষের হাতে তুলে দেয়। এ সময় তারা আগুনের ধ্বংস স্তূপ থেকে একটি পবিত্র কোরআন শরীফ উদ্ধার করেন। আগুনে সব পুড়ে গেলেও অক্ষত থাকে আল কোরআন।
গৃহকর্ত্রী ফাতেমা বেগম বাসায় না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানান- ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুনে পুরো ঘর, আসবাবপত্র সবকিছু পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা হতে পারে।
কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর সোলায়মান আহমদ জানান- কুলাউড়া ও জুড়ী শহরে প্রবেশ মুখে যানজটে আটকা পড়ায় আসতে কিছুটা দেরি হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে অগ্নিকান্ডের কারণ জানা যায়নি। তবে, পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তা বেরিয়ে আসবে।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা, জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী ও জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাছুম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সিলেটসানডটকম-এবিসি