হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ধর্ষণের শিকার হয়ে এক কিশোরী (১৭) দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরীর আপন চাচার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করছেন ওই কিশোরী।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক চাচা মো. হুছন আলীকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হুছন আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরীর বাবা অটোরিকশা চালক। তিনি বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকেন। কিশোরী তার মাকে নিয়ে চাচা হুছনসহ একই বাড়িতে থাকেন।
কিশোরীর বাবা বাড়িতে না থাকায় ওই কিশোরী গত বছর ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারে নিত্যপ্রযোজনীয় জিনিস কিনতে যান। আনুমানিক রাত ৯টার দিকে বাজার থেকে ফেরার পথে চাচা হুছন আলী ভাতিজিকে জোরপূর্বক এলাকার একটি নির্মানাধীন পাকা ঘরের নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন চাচা। ভয়ে কিশোরী ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। এরপর গত ৫ ফেব্রয়ারি রাত ৮টায় একইভাবে তাকে নির্মানাধীন পাকা ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এদিকে ধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সম্প্রতি তার (কিশোরীর) শারীরিক পরিবর্তন দেখে মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিশোরী সব ঘটনা খুলে বলে।
এরপর কিশোরী বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলা করলে পুলিশ চাচাকে গ্রেপ্তার করে। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’