প্রেম ছিল দীর্ঘ ৪ বছর। পরে পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয় তাদের, পূর্ণতা পায় দীর্ঘ এ প্রেম। তবুও টিকে থাকেনি তাদের এ সংসার। মাত্র ৪ মাসের মাথায় যৌতুক না পাওয়ায় স্ত্রী রাজনা বেগম (১৯) কে গলা কেটে হত্যা করেন পাষন্ড স্বামী জাকারিয়া।
গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে ভাড়াটিয়া বাসা থেকে রাজনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজনার স্বামী জাকারিয়া (২৩) সদর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পাষন্ড স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
আজ শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৯ এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানায়।
র্যাব জানায়, রাজনা বেগমের নিহত হওয়ার পর ওই দিনই তার ভাই সুফি মিয়া নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় র্যাব-৯ এর চৌকস টিম।
র্যাব জানায়, রাজনা বেগমের স্বামী জাকারিয়া একজন সিএনজি চালক। সিএনজি কেনার জন্য তিনি বারবার রাজনা বেগমকে তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার চাপ দিচ্ছিলেন।
কিন্তু রাজনা বেগম টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩১ জানুয়ারি রান্না ঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে এসে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে ঘরের বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় জাকারিয়া।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানা এলাকার শতাব্দি নামক এলাকা থেকে জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯।
র্যাব জানায়, রাজনাকে হত্যার পর পালিয়ে যান জাকারিয়া। প্রথমে তিনি বাসে করে ঢাকা চলে যান আত্মগোপন করতে। কিন্তু সেখানে আত্মগোপনের কোন ব্যবস্থা করতে না পারায় তার সাবেক কর্মস্থল মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার শতাব্দি এলাকায় যান। সেখানে তিনি আত্মগোপন করেন।
র্যাব খবর পেয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে জাকারিয়াকে শতাব্দি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। জাকারিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার বড় আলীপুর গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে। তার স্বীকারোক্তিতে বাকী ২য় ও ৩য় আসামীকেও গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে শফিক মিয়ার ভাড়া বাসায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাজনার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানাপুলিশ। বিয়ের ৪ মাসের মাথায় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে ভাড়াটিয়া বাসা থেকে রাজনা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। রাজনার স্বামী জাকারিয়া (২৩) সদর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে।
সিলেটসানডটকম_বিবিসি