২০২১-১২-০৫ ০১:৩১:১২ / Print
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিয়ের আসরে সংঘর্ষে বরের চাচা নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহত মোহাম্মদ বেলাল (৪০) বর ইদ্রিসের চাচা ও বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কনের চাচাতো ভাইসহ দু’জনকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ।
ঘটনায় আহতরা হলেন, বরের বাবা মো. ইউনুস (৪৫), বরের চাচা মো. আইয়ুব (৩৫), প্রতিবেশী শিশু মো. উমর (৯), মো. আইয়ুব (২৭), সিরাজুল ইসলাম (৩৫), কনের বাবা আব্দুর রহমান (৫২), মামা হারেসুর রহমান(২০) এবং আনোয়ার সাদেক(২১)। বাকি দু'জনের নাম পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খান গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে বালুখালী পানবাজার পুলিশ ক্যাম্প-০৯ এর ব্লক সি/১৯ এলাকায় একটি বিয়ের আয়োজন চলে। এতে কনে খালেদা বিবির (১৬) পরিবারের সদস্যদের সাথে বর মো. ইদ্রিস এর পরিবারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত বরের চাচা মোহাম্মদ বেলালকে (৪০) এপিবিএন পুলিশ উদ্ধার করে তুর্কি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে মো. ইউনুছ, মো. উমর, মো. আইয়ুব ও মো. আব্দুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে এপিবিএন পুলিশ আরও জানায়, বর মো. ইদ্রিসের সঙ্গে কনে খালেদা বিবির প্রেমের সম্পর্ক ছিল গত ৪ বছর ধরে। ঘটনার ৪ দিন আগে খালেদা ইদ্রিসের বাসায় চলে গেলে বরের পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। তবে এই বিয়ে মেনে নেয়নি কনে পক্ষ।
শনিবার বরের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে কনে পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বর পক্ষের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতেই এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত বেলালের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উখিয়া থানার মাধ্যমে কক্সবাজারের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটকৃতদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খান।
সিলেট সান/এসএ