২০ শতাংশ হাওর ভাতার দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন করেছেন সুনামগঞ্জের শিক্ষক-কর্মচারীরা। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
হাওর ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি সিলেট বিভাগ এর আয়োাজনে শিক্ষক দিপংকর শর্মা চৌধুরী ও আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় এবং দোয়ারাবাজার মিতালি পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়না মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার, শাল্লা ও ধর্মপাশা উপজেলার অর্ধ শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘হাওর ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আমাদের হাওর ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা হাওর ভাতা থেকে বঞ্চিত। অথচ সেখানের সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাওরভাতা পেয়ে থাকেন। আমাদের শিক্ষকদের হাওর ভাতার প্রতি কারো নজর নেই।’
নিজেদেরকে বঞ্চনার শিকার উল্লেখ করে শিক্ষকরা বলেন, ‘মহান এই শহিদ দিবসে আমাদের হাওর ভাতা যেনো বাস্তবায়ন হয়। সরকার থেকে আমরা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি কিন্তু আমাদের দাবি আমাদেরকে হাওর ভাতাও দেয়া হোক।’ মানববন্ধন শেষে আন্দলনরত শিক্ষক কর্মচারীরা বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশের হাওর এলাকার শিক্ষক-কর্মচারীরা হাওর এলাকায় শিক্ষা প্রসারের জন্য কর্মরত রয়েছেন। সরকারী শিক্ষকদের মতো তারাও শতভাগ বেতন, আংশিক বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা, উৎসবভাতা পান। সরকারের অশেষ কৃপায় ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ন্যায় পেয়ে থাকেন। হাওর অঞ্চলের কারণে সকল শিক্ষার্থী শতভাগ উপবৃত্তি পেয়ে আসছে। সরকার ঘোষিত হাওর অঞ্চলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষক-কর্মচারীগণ ২০১৯ সালের ৫ মে থেকে ২০ শতাংশ হাওর ভাতা পেয়ে আসছেন। তবে মুজিব শতবর্ষে শিক্ষক-কর্মচারীরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত।’