শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইংরেজী, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

চট্টগ্রামের নতুন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

সিলেট সান ডেস্ক::

২০২১-০১-২৭ ২৩:৪৯:৪৫ /


চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বহুপ্রতীক্ষিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৩,৬৯,২৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন  ৫২,৪৮৯ ভোট।

বুধবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম থেকে এ ফল ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ। মোট ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি কেন্দ্রের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সংঘর্ষের কারণে বাকি দুটি কেন্দ্রের ফল স্থগিত রয়েছে।


এ সিটির নির্বাচনে মূল লড়াইয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী। তবে মেয়র পদে প্রধান দুই দলের দুই প্রার্থীসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সাতজন। ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭২ জন ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। এবার নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয়েছে। ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন এবং নারী ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।


মেয়র প্রার্থীরা : চসিক নির্বাচনে এবার মেয়র পদে সাতজন অংশ নেন। এদের মধ্যে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের মো. রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা) ও বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ)। অন্যদিকে ছোট ৪টি দলের মধ্যে প্রার্থী রয়েছেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর (আম)। অন্যজন হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি)।

এবার নগরীর ১৪টি সংরক্ষিত এবং ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ছোট দলগুলোর কোনো কাউন্সিলর প্রার্থী নেই। চসিকের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীসহ ২৩৬ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এ ছাড়া একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর মৃত্যুতে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট স্থগিত রয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ ওয়ার্ডে ভোট হবে।

চসিকের ষষ্ঠ ভোটের ফল : ব্রিটিশ আমলে গঠিত চট্টগ্রাম পৌর করপোরেশন সিটি করপোরেশনে রূপান্তরিত হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। ১৯৯১-১৯৯৩ মেয়াদে বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এই পদে ছিলেন। ১৯৯৪ সালে প্রথম সিটি ভোটে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। টানা তিনবার তিনি ভোটে লড়ে জয়ী হয়ে মেয়রের চেয়ারে বসেন। তবে মহিউদ্দিন ২০১০ সালে ভোটের লড়াইয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মন্্জুর আলমের কাছে প্রায় ১ লাখ ভোটে পরাজিত হন।

মনজুর এক মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর আবার প্রার্থী হন। তবে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের কাছে তিনি হেরে যান। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এ সিটি নির্বাচনে ভোট শুরুর তিন ঘণ্টার মধ্যে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী মনজুর। ওই নির্বাচনে মোট ৭১৯ কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী হাতি প্রতীকের আ জ ম নাছির পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মন্জুর আলম কমলা লেবু প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৭ ভোট।

 

সিলেট সান/এসএ

এ জাতীয় আরো খবর

পাগলা মসজিদের ১০ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা

পাগলা মসজিদের ১০ দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা

মোটরসাইকেলে পুরো পরিবার: ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা ছেলের, শঙ্কটাপন্ন বাবা মেয়ে

মোটরসাইকেলে পুরো পরিবার: ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা ছেলের, শঙ্কটাপন্ন বাবা মেয়ে

ফরিদপুরে বাসের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১১

ফরিদপুরে বাসের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১১

 পানিতে ডুবে মৃত্যু : দুই সন্তান হারিয়ে পাগল প্রায় মা-বাবা

পানিতে ডুবে মৃত্যু : দুই সন্তান হারিয়ে পাগল প্রায় মা-বাবা

ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়নের  সভায় যোগ দিলেন সুলতান সুমন

ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট ইউনিয়নের সভায় যোগ দিলেন সুলতান সুমন

বেইলি রোডে আগুন: এখন পর্যন্ত নিহত ৪৬, পরিচয় মিলেছে যাদের

বেইলি রোডে আগুন: এখন পর্যন্ত নিহত ৪৬, পরিচয় মিলেছে যাদের