২০২৩-১২-২৩ ০৭:১৪:০৬ / Print
গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে বর্তমানে শিল্প, সার ও বিদ্যুত খাতকে প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার) দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। তিনি বলেন, এ তিনটি প্রায়োরিটি ঠিক রেখে অবশিষ্ট গ্যাস বন্টন করতে হচ্ছে।
এই ব্যবস্থাপনার কারণে আবাসিক চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। যে কারণে আবাসিকে সংযোগ আপাতত বন্ধ রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস পেলে পরবর্তীতে আবাসিক কানেকশন প্রদানের চিন্তা-ভাবনা করা হবে। তবে, গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে সরকার আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ভবিষ্যতে শতভাগ আবাসিক গ্রাহকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। শনিবার সিলেটে পেট্রোবাংলা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পেট্রোবাংলার শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ এর আওতায় অংশীজনদের নিয়ে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। জালালাবাদ গ্যাস টি এন্ড সিস্টেম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এ মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো আলতাফ হোসেন।
পেট্রোবাংলার সহকারী ব্যবস্থাপক ফারজানা রহমানের উপস্থাপনায় এতে-বিশেষ অতিথি ছিলেন-জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো: হাফিজুর রহমান চৌধুরী, সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: জসিম উদ্দিন, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান ও জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মনজুর আহমদ চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন-পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী বিশ^জিৎ সাহা। সিলেটকে পবিত্র ভূমি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখান থেকে আমার যে গ্যাস পাই, এখন তেল প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস সংগ্রহের অন্যতম উৎস এ অঞ্চল। হরিপুর ১০ নং কূপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি অদ্ভূত কূপ।
এ কূপের দুটি স্তরে গ্যাস, একটি স্তরে তেল পাওয়া গেছে। এ কূপে বিপুল গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি। মাটির নিচের ইতিহাসে এ কূপ বিরল বলে তার মন্তব্য। পেট্রোবাংলা সিস্টেম লসকে কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চুরিরোধে পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
জালালাবাদ গ্যাসে সিস্টেম লস একেবারে কম। জালালাবাদ গ্যাসে অবৈধ সংযোগ নেই, সবাই যেন এটা ফলো করেন। ঢাকা থেকে এই রোগ সিলেটে ঢুকবে না বলেও তার প্রত্যাশা।
সভায় অনলাইন এবং অফলাইনে অংশগ্রহণ করে গ্রাহকরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
গ্রাহকরা গ্যাস সরবরাহে জালালাবাদ গ্যাস এর ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। নতুন মিটার সংযোগ, বাসাবাড়িতে নতুন করে গ্যাস সংযোগ, গ্যাসের লোড বৃদ্ধির বিষয়টিও চেয়ারম্যান বরাবর তুলে ধরা হয়।
ধান অতিথি জনেন্দ্র নাথ সরকার, তার বক্তব্যে গ্রাহকদের ইতিবাচক বক্তব্যের উচ্চ প্রশংসা করেন এবং জালালাবাদ গ্যাসকে তাদের সুনাম ধরে রাখতে আরও ভালোভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
নতুন বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ এর ব্যাপারে জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন সরকার এখন শিল্প, সার এবং বিদ্যুৎ খাতে অধিক গ্যাস ব্যবহার করছে। কেননা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য শিল্প খাতকে অধিক প্রাধান্য দিতে হচ্ছে।
এই মুহূর্তে চাহিদা ৪ হাজার বিলিয়ন সেই হিসেবে দেশীয় অঞ্চল এবং এলএনজি থেকে আমরা ৩ হাজার বিলিয়ন গ্যাস পাচ্ছি। যা শিল্প কারখানায় অধিক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে।