ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে অভিযান চালিয়ে ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামের হোসাইন আহমদের ছেলে আলবাব হোসেন লিমন (২২), মোগলাবাজার থানার নৈখাই পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল হক (২৪) ও একই থানার নৈখাই মাঝপাড়া গ্রামের সিদ্দেক আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্না (২৫)।
তাদের মধ্যে লিমনকে শিবগঞ্জ পয়েন্ট, আমিনুলকে ঢাকার মতিঝিল থানার সাজেদা টাওয়ার সিকিউরেক্স কোম্পানির অফিস এবং নুরুলকে ভৈরব থানার উজানভাটি হোটেলের সামনে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে সিলেট মগরীর সুবিদবাজার এলাকার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরি হয়। পরে ৩০ অক্টোবর বুথে গিয়ে হিসেবে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার হিসেবে গড়মিল পায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বুথে টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের দুই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে সিলেটের জালালাবাদ থানায় মামলা করেন ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের এটিএম বুথের ইনচার্জ সন্দীপন দাস। মামলার পরই লিমনকে শিবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে লিমন ও আমিনুল সিকিউরেক্স কোম্পানির কর্মকর্তা। এদিকে, গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর মধ্যে লিমনের ঘর থেকে ১০ লাখ, নুরুলের বর্তমান ঠিকানা সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার স্বর্ণশিখা আবাসিক এলাকার ১০৮ নং বাসা থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার, আমিনুলের ঘর থেকে ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আসামিরা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখে দিয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা তারা খরচ করে ফেলেছেন।
এমন তথ্য জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম)।
অপরদিকে ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- ২৮ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে ওই বুথে মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক, চোখে কালো চশমা ও হাতে গ্লাভস পরা দুই ব্যক্তি ওই এটিএম বুথে প্রবেশ করেন। বুথের আশপাশে নিরাপত্তাপ্রহরী উপস্থিত ছিলেন না।
বুথের ভেতরে প্রবেশ করা দুজনের মধ্যে একজন বুথের নিচের দিকের অংশ খুলেন এবং অন্যজন তাঁর পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে নিরাপত্তাপ্রহরীকে বুথের সামনে উপস্থিত হতে দেখা যায়। ভেতরে থাকা দুই ব্যক্তির দিকে উঁকি দেন।
ভেতরে থাকা এক ব্যক্তিকে নিরাপত্তাপ্রহরীকে শাটার নামানোর জন্য ইশারা দিতে দেখা যায়। পরে নিরাপত্তাপ্রহরী শাটার নামিয়ে দেন। একপর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তি বুথের লকার খোলে ভল্ট নামিয়ে সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ব্যাগে ভরে চলে যান।
