২০২৩-১০-২৯ ০৪:৫০:৫৬ / Print
এক দফা দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে বিএনপি-জামায়াত। সিলেটে হরতালে পিকেটিংকালে জামায়াত-বিএনপি ও তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম)। আটকদের মধ্যে তিনজন হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী,
সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল আহমদ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবদল নেতা মোহাম্মদ আব্বাস। বাকিদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
জালালী পংকীকে আটকের বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন- দুপুরে ভাতালিয়া নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে সিলেটে ঢিলেঢালা হরতাল থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হতে শুরু করে। সকাল ৮টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অতর্কিত পিকেটিং করছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সঙ্গে আছে জামায়াতও। তারা ভাঙচুর করছেন যানবাহন।
পুলিশের দিকে ছুঁড়ছেন ইট-পাটকেল। তবে পুলিশও তাদের ঠেকাতে কঠোরভাবে রয়েছে মাঠে। যে স্থানেই বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন সেখানেই উপস্থিত হয়ে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে তাদের।
স্থানে স্থানে পিকেটিংয়ের কারণে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক যানশূণ্য হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার অজুহাতে পরিবহন শ্রমিকরাও সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস। আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও চলছে না গণপরিহন। এতে জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন পড়েছেন বিপাকে।
অনেকেই পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন তাদের গন্তব্যে। সকাল ১০টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়- সেখানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে বাসগুলো। এসময় পরিবহন শ্রমিকরা বলেন- যাত্রী নেই। রাস্তায় বেরোলে গাড়ি ভাঙচুরে আশঙ্কা রয়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে গাড়ি বন্ধ রেখেছি আমরা। আশা করি- বিকাল নাগাদ গাড়ি চলাচল শুরু হবে। এদিকে, ব্যক্তিগত গাড়িও সিলেটে রাস্তায় খুব কম বের হয়েছে আজ।
হরতালের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ বিপিএম (বার) পিপিএম বলেন- সিলেটের জনগণের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা মাঠে রয়েছি। হরতালকে কেন্দ্র করে কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে আমরা কঠোরভাবে তা দমন করবো।
আমাদের মোবাইল টিম, সিআরটি ও সাদা পোশাকে একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের সাজোয়া যান পিসিআর। সিলেটজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)ও। বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে তারা।