২০২৩-১০-০৫ ১৭:১৫:৩৪ / Print
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের অমীমাংসিত বিষয় ছাপিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন সারা বিশ্বে প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল।
বৃহস্পতিবার সিলেটের গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে চার দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ-ভারত ১১তম ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এক অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতিম দেশের উদাহরণ স্থাপন করেছে।
দুই দেশের মধ্যকার শান্তি ও সমৃদ্ধি সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাও এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয়।
ভারতীয় সংসদে এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত নারী আসন বিল পাসের ঘটনাকে দুই দেশের সাদৃশ্যপূর্ণ সম্পর্ক তুলে ধরে বলে মন্তব্য করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, নারী আইনপ্রণেতা গঠনের মধ্য দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে আছে।
এ সময় স্পিকার প্রযুক্তিজ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন,
ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ঘাটতি কমাতে শুল্কমুক্ত পণ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক,
ভারতীয় লোকসভার সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ভিনসেন্ট পাল, স্বপন দাসগুপ্ত এবং বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক সৈয়দ মুনতাসীর মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এএসএম শামছুল আরেফিন।
সংলাপে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের পক্ষে ৬ জন মন্ত্রী, ২০ জন সংসদ সদস্যসহ জাতীয় নেতারা এবং ভারতের পক্ষে ১৪০ জনের প্রতিনিধি দল।