হজে পাঠানোর কথা বলে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, পলাতক ‘মুফতি’, গ্রেপ্তার ২
প্রকাশিত : ২০২৩-০৭-২৮ ১২:৫১:১১নিজস্ব
সিলেটের একটি ট্রাভেলস এজেন্সির বিরুদ্ধে ৪৪ মুসল্লির তিন কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হজ্জে পাঠানোর জন্য মুসল্লীরা এই টাকাগুলো দিয়েছিলেব সাজিদ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সিতে।
ওই অভিযোগে দায়ের একটি মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুূদ মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে নগরীর কুয়ারপাড় এলাকার রেজাউল করিম খাঁন (৩৪) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় নগরীর দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকার স্টারভিউ টাওয়ার ৪র্থ তলার সাজিদ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক নরসিংদীর মনোহরদী থানার মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে অহিদুল আলম ভূঁইয়া ও তার ছেলে সাজিদুল ইসলাম এবং অহিদুলের শ্যালক নরসিংদী দত্তপাড়ার মৃত সাহাদ উদ্দিনের ছেলে মো. শফিকুল ইসলামকে।তিনি বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে অহিদুলের ছেলে সাজিদুল ও শ্যালক শফিকুলকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে তাদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অহিদুলের সঙ্গে এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় মামলার বাদী সিলেটের রেজাউল করিম খাঁনের। তিনি নিয়মিত যোগাযোগের এক পর্যায়ে অহিদুল জানায় তার ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে লোক পাঠিয়ে থাকেন। হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের তার মাধ্যমে হজে পাঠানো যাবে। পরে রেজাউল ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৩৩৫ টাকা করে সিলেটের নয়জনকে হজে পাঠানো বাবদ ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৫ টাকা তুলে দেন ওই ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক অহিদুলকে। পরে ওই এজেন্সি পাঁচজনকে হজে পাঠালেও চারজনের টাকা আত্মসাৎ করে। এমনকি তাদের পাসপোর্টও ফেরত দেননি। তাই ভুক্তভোগীদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি মামলাটি করেন।এদিকে রাজধানীর উত্তরার আল-আমিন নামে এক ভুক্তভোগী জানান, ট্রাভেলস ব্যবসায়ী অহিদুল নিজেকে কথিত ‘মুফতি’ হিসেবে পরিচয় দেন। বিশ্ব ইজতেমায় গিয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন তিনি। তাকে বিশ্বাস করে হজ করতে ইচ্ছুক শতাধিক ব্যক্তি টাকা দেন। এর মধ্যে ৪৪ জন মুসল্লি তিন কোটি টাকার বেশি জমা দিলেও হজে যেতে পারেননি।