২০২৩-০৭-২২ ১০:২৬:১৪ / Print
সিলেটের শাহপরান থানার মেজরটিলা এলাকায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত সিমলার মা বাদী হয়ে শনিবার বিকালে এ মামলা করেন।
এদিকে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ দেব নাথ (২৬)কে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠিয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সিলেট সুরমা গেট এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
শাহপরাণ থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ‘শুক্রবার রাতে সুরমা গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়েছে।’ ওসি জানান, নিহত সিমলার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে নগরীর শাহপরাণ মেজরটিলা এলাকার নাথপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে বিশ্বজিৎ দেবনাথ পালিয়েছিলেন । বিশ্বজিৎ দেবনাথ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা।
নিহত শিমলা রানী নাথ (২১) মেজরটিলা এলাকার নাথপাড়া জিতেন্দ্র দেবনাথের মেয়ে। পুলিশ ও শিমলা রানীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্বজিৎ দেবনাথ বর্তমানে মেজরটিলার নুরপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
প্রায় আট মাস আগে শিমলার সঙ্গে বিশ্বজিৎ দেবনাথের বিয়ে হয়। বিশ্বজিৎ কাজকর্ম করতেন না। তবে শিমলা নগরীর নয়াসড়ক এলাকার একটি দোকানে কাজ করতেন।
পাশাপাশি সিলেট মহিলা কলেজে স্নাতকে অধ্যয়ন করছিলেন। বিয়ের পর থেকে স্বামীকে কাজ করার তাগাদা দিচ্ছিলেন স্ত্রী।
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এর জেরে সম্প্রতি শিমলা রানী নাথ বাবার বাড়ি মেজরটিলার নাথপাড়ায় চলে আসেন। শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে বিশ্বজিৎ দেবনাথ স্ত্রীকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে নাথপাড়ায় যান।
এ সময় একটি কক্ষে দুজনে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান বিশ্বজিৎ।
পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা শিমলাকে উদ্ধার করে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।