
২০২৩-০৭-২১ ১১:০২:৫২ / Print
সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার শাহপরান থানার মেজরটিলা নুরপুর নাথপাড়ায় স্ত্রীকে খুন করে পালিয়েছেন স্বামী।
শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে খুন করে স্বামী বিশ্বজিৎ দেব নাথ পালিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত স্ত্রী শিমলা রাণী নাথ (২১) সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা ৩২ নং ওয়ার্ডের নূরপুর নাথপাড়ার নিপেন্দ্র নাথের মেয়ে।
বিশ্বজিৎ স্ত্রীকে নিয়ে ওই এলাকার অপর একটি বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানিয়েছেন পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকান্ড এ ঘটনা ঘটতে পারে। বিরোধের কারণে স্ত্রী তার পিতার বাড়ি নাথপাড়ায় ছিলেন।
শুক্রবার শ্বশুড় বাড়িতে গিয়ে ছুরিকাঘাত করেন স্বামী। গত ৬ মাস ধরে তাদের মধ্যে সমস্যা চলছিল বলে জানান ওসি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন স্বামী-স্ত্রীর মুল বাড়ি সুনামগঞ্জে। তারা দীর্ঘদিন ধরে নুরপুর এলাকায় বাস করে আসছেন।
শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে বাসায় শিমলা রাণী নাথ কাজ করছিলেন। তার স্বামী বিশ্বজিৎ হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয়ে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার সন্ধা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।
জানা যায়, সিমলা রানী নাথ নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় একটি কসমেটিক্সের দোকানে চাকরি করতেন। পাশাপাশি সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে অনার্সে অধ্যয়ন করছেন। বিয়ের পর থেকে বেকার স্বামীকে কিছু একটা করার জন্য তাগাদা দিলেও বিশ্বজিৎ সিমালর কথা শুনতো না। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কয়েকদিন আগে সিমলা স্বামীর বাসা ছেড়ে চলে যান বাবার বাড়িতে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্বজিৎ তারা কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সিমলা নয়াসড়কস্থ কর্মস্থলে গিয়ে তাকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দেয়। এঘটনায় ওইদিন সিমলার বাবা এসএমপির শাহপরান থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
এ ক্ষোভে শুক্রবার দুপুরে বিশ্বজিৎ মেজরটিলাস্থ নাথপাড়ায় সিমলার বাবার বাড়িতে যায়। একপর্যায়ে বিশ্বজিৎ স্ত্রী সিমলাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
নিহতের বাবা জিতেন্দ্র দেব নাথ জানান, ৬/৭ মাস আগে বিশ্বজিতের সাথে সিমলার বিয়ে হয়। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। আর ভাই বোনেরাও সরকারি চাকরি করে।
কিন্তু বিশ্বজিত নিজে কোন চাকরি বা কিছু করতো না, বেকার ঘুরে বেড়াতো আর আড্ডাবাজিতে মেতে থাকতো।