২০২৩-০৭-২১ ১০:৫৭:৫৮ / Print
গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম আহমদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে নির্যাতন ও লাঞ্চিতের অভিযোগ এনে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা।
বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষে ইউএনও'র কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। জানা যায়, টাকা পাওনা দাবি করে গোলাপগঞ্জের ৬২ জন ইউপি মেম্বারকে অভিযুক্ত করে সিলেট জেলা পরিষদের পরাজিত সদস্য প্রার্থী মুজিবুর রহমান সিলেটের আদালতে মামলা করেন।
এ মামলার সাক্ষী করা হয় বুধবারীবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ কয়েকজনকে। মামলা পর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয় মেম্বার সহ জনপ্রতিনিধিরা। এরপর গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফোরাম একের পর এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফোরামের আহবায়ক ও ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্য়ার্ডের মেম্মার সেলিম আহমদ জোরালো ভূমিকা পালন করেন। এরপর তাকে শায়েস্তা করতে মঙ্গলবার কাল্পনিক অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধ স্মারকলিপি দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কছে।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ফোরাম গোলাপগঞ্জ শাখা এ স্বারকলিপি দেয়। স্বারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন সম্প্রতি ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের সচিবকে শারীরিক ও মানসিক লাঞ্চিত করেন সেলিম মেম্বার।
এ প্রসঙ্গে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারময়ান-১ সেলিম আহমদ বলেন আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে স্বারকলিপি দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যে। অন্য ঘটনাকে আড়াল করতে নাটক সাজিয়ে ইউএনও'র কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের সাথে আমার কখনো কোন ঘটনা ঘটেনি। মূল ঘটনাকে আড়াল করতে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ফোরাম আমার বিরুদ্ধ অভিযোগ করছেন।
বিগত জেলা পরিষদের নির্বাচনে একজন সদস্য নির্বাচনে পরাজিত হয়ে গোলাপগঞ্জে ৬২ জন মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এসময় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফোরামের এর প্রতিবাদে জোরালো ভূমিকা পালন করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয় মামলার সাক্ষী একজন চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন লোক। ইউনিয়ন সচিবদের দিয়ে ইউএনও'র কাছে আমার বিরুদ্ধে দেওয়া স্বারকলিপি উদ্দেশ্যেমূলক।