সিলেটের গোলাপগঞ্জে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।এতে আরও দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নজরুল ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।গোলাপগঞ্জের কিসমত মাইজভাগ দক্ষিণপাড়া গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রব জুনু মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান মাসুদ মঙ্গলবার মামলাটির দায়ের করেন।মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, কামরুজ্জামান মাসুদ একজন ব্যবসায়ী। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গত ১৬ জুলাই ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে যান তিনি। সেখানে সচিব নজরুল ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর সাইফুল ইসলাম চৌধুরী তার কাছে সরকার নির্ধারিত ফির ৪০০ টাকার বদলে তারা ৬৫০ টাকা দাবি করেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করেন মাসুদ। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খান ইউনিয়ন কার্যালয়ে উপস্থিত হন এবং মাসুদকে চড়থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে মারতে গেটের বাইরে নিয়ে যান। সেখান থেকে আবার তার অফিসে এনে দরজা বন্ধ করে তিনজন মিলে মাসুদকে নির্যাতন করেন। পরে খবর পেয়ে তার স্বজনরা ইউনিয়ন থেকে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ ব্যাপারে মাসুদের আইনজীবী ফয়ছল আহমদ জানান, মামলাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নান জানান।বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে ইউএনও বরাবর একটি স্মারক দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে ফুলবাড়ি ইউনয়ন পরিষদের সচিব নজরুল ইসলাম ও হিসাব সহকারী সাইফুর রহমানকে নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান তারা