২০২৩-০৬-২৬ ০৯:২৫:২৪ / Print
বিয়ানীবাজার উপজেলার আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর গ্রামে প্রাণে হত্যার জন্য হামলা ও স্বর্ণালংঙ্কার চুরি মামলার আসামীরা এখনও অধরা রয়েছে
।তবে পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ সূত্র ।
সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিমের পশ্চিমপাড়া গাছতলা রাস্তার নিকটবর্তী জায়গায় সীমানার পিলার কাটা তারের বেড়া তুলে ভূমি দখল করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল আব্দুল মুহিত গংরা।
এর জের ধরে গত ২ জুন শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আগুরা মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল নুরের ছেলে আব্দুল ওয়াহাব, আব্দুল বারীর ছেলে সেলিম, কালা মিয়ার ছেলে শাহবুদ্দিন, মুহিত, কটাই মিয়ার ছেলে কয়েছ, আব্দুল্লাহ, আব্দুল নুরের ছেলে সামছুল হক, ইসলাম উদ্দিনের ছেলে রুবেল, আব্দুল বারীর ছেলে আলী আহমদসহ আরও ১২ জন মিলে ধারালো নানা ধরণের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুল করিমের আত্মীয় আব্দুল ওয়াহিদ ও ওয়াহাব এর নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা চালিয়ে বাড়ির জিনিসপত্র লুটপাট ও ভাংচুর করে ও আব্দুস শহিদের বসত বাড়ীর সীমানার ভিতর অনধিকার প্রবেশ করে আক্তার হোসেন, আব্দুল ওয়াহিদ, আব্দুল মুহিত, আব্দুল ওয়াহাব, ইমরান, আব্দুস শহিদ ও বেলায়েত হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাতে, পায়ে, চোখে, মুখে, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরত্বর রক্তাক্ত জখম করে এবং এসময় আব্দুল ওয়াহিদের স্ত্রী রানু বেগমের শ্লীলতাহানি করে এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় আব্দুল ওয়াহিদের স্ত্রী রানু বেগম বাদী হয়ে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৪ নং আদালতে (সি.আর মামলা নং ১৬৪/২৩ইং) দাখিল করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তিনদিনের মধ্যে এফআইআর গণ্যে মামলা রুজু করার জন্য বিয়ানীবাজার থানার ওসি-কে নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) (থানার মামলা নং ১২ (০৬)২৩ ইং) রুজু করে আদালতে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী রানু বেগম জানান, তার মামলার আসামীরা অত্যন্ত খারাপ, ভূমিখেকো ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। মামলার পর থেকে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তিনি আরও জানান, আব্দুল মুহিত গংদের সাথে একই গ্রামের লন্ডন প্রবাসী হারুন উদ্দিন, লন্ডন প্রবাসী জসিম উদ্দিন, নানু মিয়া’র পরিবার ও আব্দুল মতিন এবং সুরত মিয়া’র পরিবারের সাথে জমি দখল নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি রুজু করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
এস এস