২০২৩-০৬-২০ ১২:১২:৫৯ / Print
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ।
তিনি সবাইকে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ১০টায় সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ লাইন্সের সম্মেলন কক্ষে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
পুলিশ কমিশনার জানান, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন করতে নগরীতে কাজ করছে প্রায় ২ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য। মাঠে রয়েছেন ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১জন পুলিশ পরিদর্শক, একজন উপ পুলিশ পরিদর্শক ১ জন ও ৫ জন পুলিশ সদস্য এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডে একজন পুলিশ পরিদর্শক, একজন উপ পুলিশ পরিদর্শক ও ৪ জন পুলিশ সদস্য এবং ৭ জন নারী ও ৭ জন পুরুষসহ মোট ১৪ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের ৪২টি মোবাইল টিম, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে ১৪টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি থানায় একটি করে ৬টি করে ৬টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম থাকবে। পাশাপাশি থাকবে ২টি ওয়ার্ডে ১টি করে র্যাবের মোট ২২টি ও ৫টি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবির টহল।
এ সময় পুলিশ কমিশনার নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) মো. জুবায়েদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মুঃ মাসুদ রানা, উপ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) তোফায়েল আহমদ, উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ,
উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. সোহেল রেজা পিপিএম, উপ কমিশনার (সিটিএসবি) ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ ও অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দেব। আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠেয় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডসহ ৪২টি ওয়ার্ডে ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।
এবার ৪২ সাধারণ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, মেয়র পদে আটজন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে একাধিক সিসি ক্যামেরা থাকবে।