২০২৩-০৬-০৩ ০৯:১৭:৪২ / Print
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্মানাধীন ভবনের ছাদ থেকে স্টিলের পাইপ পড়ে সেনা সদস্য নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। কমিটিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গণপূর্ত বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায়, সিসিকের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম,
সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান। শনিবার সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য জানিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এধরণের ঘটনায় আমি মর্মাহত।
এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। ৭২ ঘন্টার মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দিবেন। আমি সেনা কর্তৃপক্ষের সাথেও কথা বলেছি। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ি দায়িদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেয়র বলেন, নগরভবনের ১২ তলার নির্মাণ কাজ চলছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল এন্ড কোং এই কাজ করছে। এরআগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ল্যান্স কর্পােরাল দেলোয়াল হোসেন সেনাবাহিনীর ৫০ ফিল্ট রেজিমেন্ট আর্টিলারী, ১৭ ডিভিশন, সিলেটে কর্মরত। তার বাড়ি মেহেরপুর জেলার রাংনি থানাধীন জগিরগোফার রায়পুর গ্রামে। দুর্ঘটনার সময় দেলোয়ার নগরভবনের পাশ্ববর্তী সিটি সুপার মার্কেটে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের ১২ তলার ছাদ থেকে হঠাৎ করেই একটি স্টিলের পাইপ সিটি মার্কেটের ভিতরে ওই সেনা সদস্যের মাথায় এসে পড়ে। সাথে সাথে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরণ করেন। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই নির্মাণ কাজের জন্য নগরভবনের নির্মাণকাজে জড়িত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।