২০২৩-০৫-০৭ ০৬:৪২:০১ / Print
সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার ছালিয়া গ্রামে বৃদ্ধ গৃহকর্তার বিরুদ্ধে তারই বাসার এক শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত রমজান মাসে এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার ওই শিশুর রক্তক্ষরন হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
রাতেই তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন স্বজনরা। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চললেও জানানো হয়নি পুলিশকে।
অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ ওরপে পাটা হামিদ (৫৫) এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের ছালিয়া উত্তর পাড়ার মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে।
শিশুর চাচা শামীম আহমদ তার ভাতিজির পরিবার খুবই গরীব উল্লেখ করে জানিয়েছেন, গত রমজান মাসে একই এলাকার বাসিন্দা হামিদের স্ত্রী তাকে বাড়িতে কাজের জন্য নেন।
লেখাপড়া করানোর কথাও বলেন। কিন্তু রমজান মাসে হামিদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
কাউকে না বলতে তাকে দা দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়। ঈদের ২দিন পর সে বাড়িতে চলে আসে। তার মা বিষয়টি জানতে পারলেও কাউকে বলেন নি। শনিবার শিশু ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা হয়।
তিনি বিষয়টি জানতে পেরে মা ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা ঘটনার স্বীকার করে। শামীম জানান, শনিবার শিশুটির রক্ষক্ষরনও হয়। রাত ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আগামীকাল সোমবার বিমানবন্দর থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। এয়ারপোর্ট থানার ওসি মঈন উদ্দি সিপন জানিয়েছেন ধর্ষনের কোনো অভিযোগ কেউ করেনি।
তিনি জানান রমজান মাসে ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিক পুলিশকে জানানো উচিত ছিল। তার পরও ওসিসি থেকে কাগজপত্র নিয়ে আসলে আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।