২০২৩-০৫-০৩ ১১:১৪:১২ / Print
বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে পাভেল আহমেদ (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে এ দন্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া অভিযানকালে অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ৩টি ট্রলি ধ্বংস করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
কোম্পানীগঞ্জে ১৩৭ দশমিক ৫০ একর আয়তনের শাহ আরেফিন টিলার নিচে রয়েছে বড় বড় পাথর খণ্ড। এসব পাথর উত্তোলন করতে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে সরকারি খাস খতিয়ানের বিশাল এই টিলা।
লালচে, বাদামি ও আঠালো মাটির এই টিলার পুরোটা খুঁড়ে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য গর্ত। ফলে টিলার অস্তিত্ব এখন সংকটে।
টিলার মাটি কেটে গর্ত খুঁড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে প্রায়ই মাটি ধসে এখানে শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গত ছয় বছরে এই টিলা ধসে অন্তত ২৬ জন পাথর শ্রমিক মারা গেছেন।
২০১৬ সালে শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়। তবু ঠেকানো যায়নি অবৈধ পাথর উত্তোলন।
পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা ৬(খ)
লংঘন করে টিলা কেটে পাথর উত্তোলনের অপরাধে একজনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।