২০২৩-০৪-০৩ ১৩:১০:০৮ / Print
প্রতি বছর সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দিরে বার্ষিক কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের সর্ববৃহত্ত এ মন্দিরে দপশ-ছাড়াও বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। এ উৎসবকেকে ঘিরে মন্িরের পশে বসে 'রবি বারুণী মেলা'।
বিশাল এ মেলাকে ঘিরে ফাদ পাতে আন্তঃজেলা চোরচক্র। হিন্দু ধর্মাবল্মী লোকজন যখন ধর্মীয় কাজে মাশগুল তখন সংঘবদ্ধ চোরচক্র হয়ে উঠে সক্রিয়।
তারা তারা মন্দিরের আশপাশ থেকে একে একে হাতিয়ে নেয় সোনা, মোবাইল ও টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন সামগ্রী। বিষয়টি আচ করতে পারেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
তখন তিনি আন্তঃজেলা চোরচক্রকে ধরতে শুরু করেন তৎপরতা। মন্দির ও আশপাশ এলাকায় পোাষাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোষাকধারী পুলিশ মোতায়েন করেন।
এর পর শুরু হয় ঝটিকা অছিযান। তাদের এ চিরুণী অভিযানে একে একে ধরা পড়ে নারী-পুরুষ সহ ২৭ জন চোর। সোমবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে অবস্থিত শ্রী শ্রী চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কীর্তনে আয়োজিত মেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় ২৭ জন সদস্যকে আটক করে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ।
এসময় তাদের নিকট থেকে স্বর্ণালঙ্কার সদৃশ জুয়েলারি, নগদ টাকা এবং হিন্দু নারীদের ব্যবহৃত হাতের শাঁখা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া আলামতের মধ্যে আছে- স্বর্ণ সদৃশ চেন ৯টি, স্বর্ণ সদৃশ হাতের বালা ১ জোড়া, স্বর্ণ সদৃশ হতের চুড়ি ৪ জোড়া, স্বর্ণ সদৃশ কানের দুল ১৪ জোড়া, রূপা সদৃশ চেইন ৮টি,
রূপা সদৃশ নুপুর ৮টি, হিন্দু নারীদের ব্যবহৃত হাতের শাঁখা ৬টি, পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাস ১টি এবং মোবাইল ৭টি, (৫টি বাটন ফোন ও ২টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন)।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রত্যেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা এবং একটি আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য।
তারা পরস্পরের যোগসাজশে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামের শ্রী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত পূণ্যমেলায় চুরির উদ্দেশে আসেন
এবং সুকৌশলে নিজেরা ভিড় তৈরি করে পূণ্যার্থীদের স্বর্ণের চেন, কানের দুল, হাতের বালা, রুপার চেন, নুপুর ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেন।
মেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনা আঁচ করতে পেরে চুরির অপরাধের সাথে জড়িত ২৪ জন নারী ও ৩ জন পুরুষকে আলামতসহ আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারজিন বেগম (৩০), নাজমা বেগম (৩২), রিমা আক্তার (২৮), মহিমা আক্তার (৩৫), ৫) পপি বেগম (৩০), ৬) আয়েশা বেগম (৩৫), সুমি বেগম (৩০),
বিলকিস বেগম (২৮), সুফিয়া বেগম (২২), শাহিদা বেগম (২৮), লুৎফা বেগম (২৫), নাজমা বেগম (৩০), রোকসানা বেগম (২৫), সালমা বেগম (৩৫), তাছলিমা বেগম (৩৫),
রোজিনা বেগম (৩০), লাভলী আক্তার (৩৫), আছমা বেগম (৩৮), পারভিন বেগম (৩০), তাছলিমা আক্তার (৩৫), অনু আক্তার (৩০), আমেনা বেগম (৩০), ফুলচান বিবি (২৮),
আছমা বেগম (২৫), হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুহেল মিয়া, শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ছাইদুল ইসলাম।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসমানীনগর সার্কেল (অতিরিক্ত দায়িত্ব, গোলাপগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান।