মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় লায়েক মিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন।
নিহত লায়েক মিয়া শহরের মন্ডলীভোগ(জংলীগড়)এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র। ছাতক পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার(২৮,মার্চ) সাড়ে ৯টার সময় থানা সংলগ্ন গণেশপুর খেয়াঘাটে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ছাতক বাজার থেকে এরশাদ আলী ও তাজ উদ্দিন নামের দু'জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ছাতক উপজেলার
মন্ডলীভোগ লাল মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লায়েক মিয়া ও এরশাদ আলীর মধ্যে বিরোধ চলছিল।
এসব বিষয় নিয়ে গত সোমবার লায়েক মিয়া পক্ষের কাজল মিয়া ও এরশাদ আলীর নাতি শিবলু আহমদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিবলু আহমদকে চড়-থাপ্পড় মারে কাজল মিয়া। এ নিয়ে দু'দিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ ) রাতে তারাবি নামাজের সময় গণেশপুর খেয়াঘাটে চায়ের ষ্টলে বসে ছিল লায়েক মিয়া। এসময় তাকে শিবলু আহমদ ও তার সহযোগীরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত লায়েক মিয়াকে প্রথমে ছাতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ দেখে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় পরামর্শ দেয়। পরে সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে লায়েক মিয়ার উপর হামলার পর দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। লায়েক মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ গ্রামে পৌঁছলে তার স্বজনরা এরশাদ আলী ও নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে ভাংচুর করে তাদের বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
ছাতক থানার ওসি খাঁন মোহাম্মদ মাইনুল জাকির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।