
২০২৩-০৩-২৭ ১৬:১২:২৯ / Print
বর্ণাঢ্য আয়োজনে আসামে বাংলাদেশের গুয়াহাটি মিশনের উদ্যােগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে।
২৭ মার্চ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় আসামের গুয়াহাটি খানাপাড়ায় হোটেল বিভান্তে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আসাম সরকারের পরিবেশ ও বন, অ্যাক্ট-ইস্ট পলিসি অ্যাফেয়ার্স এবং সংখ্যালঘু বিভাগ কল্যাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আসাম রাজ্য বিধান সভার এমএলএ তরুংগ গগৈ, বিধায়ক লরেঞ্চ ইচলারী, আসাম সরকারের চীফ সেক্রেটারী মনিন্দ্র সিং।
অনুষ্ঠানে শুরুতে দু'দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান আসামের গুয়াহাটি'ত নিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান রুহুল আমিন এবং তার পত্নী ড. নবনীতা হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী শ্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী বলেন,বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ হিসাবে ভারত সাধ্য মত সবকিছু দিয়ে সহযোগিতা করেছে।
যুদ্ধে বাংলাদেশর ৩০ লক্ষ শহীদের সাথে অনেক ভারতীয় সৈনিক শহীদ হয়েছেন। ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে ভারত সরকারের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণ কে শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারী আরো বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক অন্যন্য উচ্চতায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা-গুয়াহাটি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করা হবে। আসাম সরকার শিলচর-সিলেট সরাসরি বাস সাভির্স চালু করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে স্থলপথ,নৌ-পথে যোগাযোগ উন্নয়নে আগ্রহী।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম সহ সেভেন সিস্টার রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
সিলেট বিভাগের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সিলেটের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আসামের শিলচর শহরে শিলচর-সিলেট উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, দু'দেশের বাণিজ্য,পর্যটন শিল্পের বিকাশ,ভাষা ও সাহিত্য, সংস্কৃতি বিনিময় এবং রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আর এগিয়ে নিতে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আসামের ব্রহ্মপুত্র নদী এবং বরাক-কুশিয়ারী নদী খননের উদ্যাগ গ্রহন করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে আসামের গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান রুহুল আমিন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে তৎকালীন ভারত সরকার ১ কোটি মানুষ-কে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
আসামে অন্তত ৩ লাখ মানুষ আশ্রয় গ্রহন করে ছিলেন। যুদ্ধ ভারতীয় সরকার হাজার হাজার সৈন্য সহ সবকিছু দিয়ে সহযোগিতায় করায় তিনি ভারত সরকার এবং তাদের জনগনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন,আসামের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য,পযর্টন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে এবং সম্পর্ক উন্নয়নে গুয়াহাটি মিশন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসাম সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিল্পী ও সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর বিয়াম ডা: কুদরত উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান বেলাল ও সাংবাদিক ইউসুফুর রহমান অংশ গ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকারী-বে-সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবি,সাহিত্যিক ও শিল্পীদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।