২০২৩-০২-২৪ ১২:১৭:৪৮ / Print
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সুরমা নদী ভাঙ্গন ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। একের পর এক ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে শত শত ঘর-বাড়ী, ফসলী জমি, মসজিদ মাদ্রসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
এতে নিঃশ্ব হয়ে পড়েছে এলাকার শত শত মানুষ।
নদীগর্ভে বাড়ীঘর হারিয়ে অসংখ্যক লোকজন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে উপজেলার বাঘার রুস্তমপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রাচীনতম মসজিদসহ বসতঘর ও ফসলী জমি।
ভাঙ্গনরোধের লক্ষে স্থানীয় প্রবাসীদের উদ্যোগে শুক্রবার প্রায় ৩হাজার বালির বস্তা দিয়ে নদীতে বøক দিয়ে প্রতিরক্ষা বাধ স্থাপন করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার সুরমা নদীর ভাঙ্গন ভয়কর রূপ ধারণ করেছে। বিশেষ করে শুস্ক মৌসূমে এর তীব্র আকার ধারণ করে। বর্তমানে বাঘা ইউনিয়নের রুস্তপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
দুই মাসের মধ্যে এলাকার অসংখ্যক বসত ঘরবাড়ী, খেতের ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে নদীগর্ভে। এতে নিঃষ¦ হয়ে পড়েছেন এলাকার লোকজন।
বর্তমানে ভাঙ্গনের ঝুকিতে রয়েছে নদীপাড়ের শত শত ঘরবাড়ী, খেতের ফসলী জমি, প্রাচীনতম মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। যেকোন সময় ঝুকিতে থাকা এসব স্থাপনা নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন।
খেতের ফসলী জমি হারিয়ে নিঃশ্ব হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। দীর্ঘদিন থেকে এভাবে নদীভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এলাকার প্রবাসীরা নদী ভাঙ্গন রোধের লক্ষ্যে প্রায় ১০লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩হাজার বালিবস্তা দিয়ে নদীতে বøক স্থাপন করছেন। শুক্রবার বাঘার রুস্তমপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে ভংয়কর এ ভাঙ্গনরোধে বøক স্থাপনের উদ্বোধন করা হয়।
মোনাজাতের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল মালিক এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন। এসময় এলাকার কয়েকশ লোক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাদ জুম’আ রুস্তমপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এসময় দোয়া পরিচালনা করেন মসজিদের পেশ ইমাম ম্ওালানা আব্দুল মালিক।
এ ব্যপারে রুস্তমপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী শেখ মখছুছ আলী শুক্রবার যুগান্তরকে জানান, বর্তমানে সুরমা নদী ভাঙ্গনে ভংয়কর রূপ ধারণ করছে।
ঘরবাড়ী হারিয়ে এলাকার অনেক লোক হচ্ছে নিঃশ্ব। অনেকের বসতঘর ও ফসলী জমি তলিয়ে গেছে নদীতে। ফলে এলাকার প্রবাসীদের উদ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে বালিবস্তা দিয়ে ভাঙ্গন রোধের জন্য ব্লক স্থাপন করা হচ্ছে নদীতে। যাতে এলাকার ঘরবাড়ী ফসলী জমি রক্ষা পায়।
সরেজমিন শুক্রবার বাঘার সুরমা নদী ভাঙ্গন এলাকা রুস্তমপুর পশ্চিমপাড়া ঘুরে দেখা গেছে নদী ভাঙ্গনের ভয়ংকর চিত্র। নদীপাড়ের লোকজন রয়েছেন চরম ভাঙ্গন আতংকে।
তাদের চোখেমূখে যেন অমানিষার ঘোর অন্ধকার। কখন কার বসতবিটে নদীতে তলিয়ে যায় এমন আতংক তাদের মধ্যে। এলাকার লোকজন জানান, অনেক লোকজন ইতিমধ্যে ঘরবাড়ী হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। কেউবা রয়েছেন চরম ঝুকির মধ্যে।