২০২৩-০২-২০ ০৬:৫০:৪৭ / Print
দক্ষিণ সুরমার বেসরকারি নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারশো জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের তথ্য জানিয়ে, দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিন থেকে চারশো জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এছাড়া সংঘর্ষের প্রতিবাদে সোমবার নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
রোববার রাতে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়।
এতে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। স্থানীয় সূত্র্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত নেপালিয়ান দুই ছাত্রী ব্যক্তিগত প্রয়োজনে চন্ডিপুলের ফুলকলি মিষ্টির দোকানে যান।
দোকান থেকে ফিরে আসার সময় স্থানীয় সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালক তাদের উদ্দেশ্য অশালীন কথা বলেন এবং উত্যক্ত করেন।
ওই অটোরিকশা চালক নর্থ ইস্ট হাসপাতালের পাশ্ববর্তী সুমাইয়া কমপ্লেক্সের নিচ তলার বাদশা টেলিকম নামক ফ্লেক্সিলোডের দোকানের মালিক গুলজার আহমদের আত্মীয়।
উত্যক্তের শিকার দুই ছাত্রী কলেজে গিয়ে সহপাঠীদের বিষয়টি জানালে কয়েকজন শিক্ষার্থী বাদশা টেলিকমে এসে বিচারপ্রার্থী হন।
এসময় দুপক্ষের মাঝে বাবকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শামিল হয়ে এসময় স্থানীয় অটোরিকশা চালকরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের পাশে সুমাইয়া কমপ্লেক্স মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮-১০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আহত হয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মাঈন উদ্দিন খান। এসময় নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার মাননবন্ধন করে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে উত্যক্তকারী যুবক ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।
এছাড়াও মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করা স্থায়ীভাবে বন্ধে পুলিশকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।