প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চাইল্ড কেয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়। গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ
বাঘায় শনিবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয় মাঠে উৎসবমুখোর পরিবেশে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পিঠা উৎসবে বিপুল সমাগম দেখা যায়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল ফজল চৌধুরী সাহেদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক আলী হোসেন রাবেলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মফিজ উদ্দিন ভুঁইয়া।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী সাংবাদিক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নর্থ ওয়েলস্ বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুস সালাম,
গোলাপগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেট এসোসিয়েশনের অজামিল চন্দ্র নাথ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন।
ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের যৌথ উদ্যোগে উৎসবের আয়োজনে আগত অতিথিরা বাহারী পিঠা দেখে নানা শ্রæতি মধুর মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, বাংলার চিরাচরিত ঐতিহ্যের প্রায় প্রতিটি উৎসবে পিঠা পরিবেশন না হলে যেন চলেইনা।
আগেকার দিনে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এধরণের পিঠার আয়োজন হত। এখন এসব বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় পিঠা কিছুটা হলেও মানুষকে আকৃষ্ট করবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ভাষা শহীদদের নামে দশটি স্টলে গ্রাম-বাংলার হরেক রকমের পিঠা প্রদর্শিত হয়।
পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক হারিছ আলী, আব্দুল কুদ্দুস, রতণ মনি চন্দ, সাকিব আল মামুন, জয় রায় হিমেল, খালেদ হোসেন,
এমডি ফাহিম আশরাফ, শান্ত দাস, শামিল হোসেন, শিক্ষক বিদ্যুৎ জ্যেতি পুরকায়স্থ বাপ্পা, মোতাহার হোসেনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক, স্থানীয় গন্য-মান্য ব্যক্তিবর্গ।
পিঠা উৎসবে হরেক রকম পিঠার মধ্যে নয়নতাঁরা, ফুল পিঠা, রাজকীয় পিঠা, নকশি পিঠা, সেমাই পিঠা, ভাপা পিঠা, সুজির বরফি,
ডাল বরফি, সন্দেশ, ডালপুরি, গোলাপ পিঠা, খেজুর পিঠা, আলুর পরোটা, নুডলসের পাঁকুড়া, পাপড়, মনমোহন, ফুলজুরি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।