২০২২-১১-১১ ০৪:০৯:১৮ / Print
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার তথাকথিত হিজরতে সবচেয়ে বেশি গেছে সিলেট থেকে। তথাকথিত এ হিজরতের মাস্টারমাইন্ড সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত চৌধুরী।
রাফাতসহ অন্য সংগঠকরা সিলেট অঞ্চলের ধর্মভীরু তরুণদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রশিক্ষণ ক্যাম্প খুলে জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল। এ ছাড়া জিহাদে উদ্বুদ্ধ বেশ কিছু তরুণকে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণও দিয়েছে এই তরুণ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, গত বুধবার সিলেট থেকে ডা. রাফাত ও তার সহযোগী আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাফাত সম্প্রতি এমবিবিএস পাস করেছে।
একটি প্রতিষ্ঠানে সে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করছিল। সিলেট থেকে নতুন করে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়াদের নেপথ্যে ছিল রাফাত। আসাদুজ্জামান বলেন, তাহিয়াদ নামে অপর এক ব্যক্তি রাফাতের মতো বড় সংগঠক।
তাহিয়াদের মাধ্যমে অনেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছে। রাফাতসহ অন্য সংগঠকরা সিলেট অঞ্চলের ধর্মভীরু তরুণদের বোমা বানানোর কৌশল শিখিয়েছে এবং তারা বোমা বানিয়ে সক্ষমতাও যাচাই করেছে। পুলিশ বোমা বানানোর কারিগরদের শনাক্ত করেছে এবং তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ সংগঠনের কোনো টার্গেট ছিল কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা প্রস্তুতির পর্যায়ে ছিল। মূলত নিজেদের সংগঠিত করা এবং প্রশিক্ষণের কাজ চলছিল। এখনও তারা বাস্তবায়নের পর্যায়ে আসেনি। প্রস্তুতির পর্যায়েই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
রাফাতের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো সংশ্নিষ্টতা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে আমরা জানতে পেরেছি সে একসময় শিবিরের কর্মী ছিল। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে তার গোপন যোগাযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দায়ের মামলায় রাফাত ও আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম গতকাল এ আদেশ দেন। মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবুল বাসার।