২০২২-১১-০৭ ০৬:০৬:২৫ / Print
মুক্ত আঁকাশে ঘুরছিল ৭শ’ আবাবিল পাঁখি। রাতে ঘুমাচ্ছিল সীমান্তবর্তী হাওরের পানিতে। কিন্তু সেই ঘুম থেকে পাঁখিগুলোকে শিকার করে নেয় শিকারীরা। বন্দি করে রাখা হয় খাঁচায়। পাঁখি শিকারের খবর পায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন। সকাল ৭ টায় ক্রেতা সেজে উপজেলার পূর্ণা নগর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমানের হস্তক্ষেপে ৭শ’ আবাবিল পাখি জব্দ ও অবমুক্ত করা হয়।
পাখি শিকারের দায়ে তিন পাখি শিকারী ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭০০টি আবাবিল পাখি,শিকারের যন্ত্রপাতি ও খাঁচা উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) তাদেরকে বন্যপ্রাণী নিরোধ আইনের ৩৮ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান ও গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম পাখিগুলো অবমুক্ত করেন।
ইউএনও তাহমিলুর রহমান জানান, উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ও তুলনামূলক নিরাপদ এলাকায় বিশেষ কৌশলে ফাঁদ ও জাল পেতে দেশীয় পাখি শিকার করা হচ্ছে খবর পেয়ে ক্রেতা সেজে থানা পুলিশের সহযোগিতায় পূর্নানগর গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পাখি শিকারি চক্রের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সবাইকে সচেতন থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
এস এস