২০২২-১১-০৪ ১৫:০৪:০৯ / Print
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জঙ্গিরা এক সাথে সারাদেশের ৬৩টি জেলায় রক্তের হুলি খেলায় মেতে উঠেছিল।
সেই অবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আমরা কাজ করছি। সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকলে মিলে কাজ করার কারণে আজ আমাদের দেশ থেকে জঙ্গিবাদ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।
জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আমরা বিশ্বের বুকে ঈর্ষনীয় সফলতা অর্জন করেছি। শুক্রবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার একটি কনভেশন সেন্টারে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন আইজিপি।
তিনি বলেন, এই সরকার দায়িত্বগ্রহণের আগে আমরা যখন বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি তখন বেশিরভাগ গ্রামেগঞ্জে কুঁড়েঘর দেখেছি। কিছু কিছু টিনসেটের ঘর ও দু-একটা পাকা ঘর ছিলো। আর এখন আমরা কোথাও আর কুঁড়েঘর খোঁজে পাই না। আর যদিও কুঁড়েঘর থাকে সেগুলোও জ্বালানি কাঠ রাখার জন্য রাখা হয়।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন আইজিপির দায়িত্বগ্রহণের পর সিলেটে প্রথমবার সফরে আসা উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশ এই সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। সরকারের উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, আমি উপজেলা পর্যায় যখন স্কুলে পড়তাম তখন ইউনিফর্ম পড়ার সুযোগ হয়নি।
কিন্তু এখন গ্রামেগঞ্জের স্কুলে ইউনিফর্ম আছে। সবাই শার্ট প্যান্ট পড়ে স্কুলে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে এই সরকারের আমলে উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের আয়ের উৎস বেড়েছে। কেন বেড়েছে, কারণ আইনশৃঙ্খলার স্থিতিশীল রয়েছে। দেশ ও বিদেশের মানুষ বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছেন।
যার কারণে দেশের মানুষের আয় বেড়েছে। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সুধী সমাবেশে আরও বলেন, ‘আইজিপি হওয়ার পর আমি প্রথম এসেছি আমার নিজের এলাকাতে। এখানে যারা আছেন সবাই আমার অত্যন্ত আপনজন। আমি এসেছি আপনাদের কাছে দোয়া চাইতে।
প্রধানমন্ত্রী যে সম্মানি পদ আমাকে দিয়েছেন এই পদের দায়িত্ব আমি যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারি এজন্য সবার দোয়া চাই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে একটি প্ল্যাটফর্মে এনে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন।'
সুধী সমাবেশে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব,
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।