২০২২-১০-২৮ ১৪:২৬:৪৬ / Print
আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে গোলাপগঞ্জের সকল পাহাড়, টিলা ও জমি আনারস, মাল্টা, কাজুবাদাম, কফি চাষের আওতায় আসবে। কারণ কাজুবাদাম, কফি ও আনারস দারুণ সম্ভাবনাময় ফসল। এটা শুধু সিলেটে নয়, সারা দেশেই এ চাহিদা ব্যাপক। এটা লাভজনক ফসল।
এসব বাগান করতে সরকার সাধ্যমত সহযোগীতা করছে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে স্থানীয় কৃষকদের উজ্জীবিত করছেন পরিকল্পনা মমন্ত্রণালয় মহাপরিচালক (বাস্তবায়ন পরিবিক্ষণ ও মূল্যায়ন) মো. সাইফুল ইসলাম। শুক্রবার উপজেলার আমুড়ার কদম রসুলে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কৃষক সমাবেশে তিনি বলেন গোলাপগঞ্জ হচ্ছে গোলাপের সৌরভ। কৃষকরা আনারস, কাজিবাদাম, কফি চাষ করে একটি রোল মডেল স্থাপন করতে পারবে। টিলায় টিলায় বাগান করতে হবে। সেচের সুবিধা থাকায় এসব বাগান করা সহজ হবে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও কফি, আনারস কফি রপ্তানী করা যেতে পারে।
এজন্য সরকার কৃষকদের সব ধরণের সুবিধা দিচ্ছে। আমি আশাবাদী আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে গোলাপগঞ্জের সকল টিলা ও পাহাড় কফি আনারস ও কাজুবাদামে আওতায় আসবে।
একদিকে যেমন কৃষকরা লাভমান হবে অন্যদিকে লোকজনদের জন্য বিনোদনের নতুন মাত্রা যোগ হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খয়ের উদ্দিন মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুজুবাদাম কফি গবেষনা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণপ্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা গৌতম পাল ও সাংবাদিক হারিছ আলী। এর আগে উপজেলা লক্ষণাবব্দে বৃহত্ত আনারস বাগান আলভিনা গার্ডন পরিদর্শন করেন তিনি। বর্তমানে উপজেলার ৮শতাধিক পাহাড়ি টিলায় আনারস,
কাজুবাদাম ও কফি চাষের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ, ভাদেশ্ব, আমুড়া, লক্ষণাবন্দ, লক্ষীপাশা, বাঘা ও সদর সহ ৪০ টি টিলায় আনারস, কাজুবাদাম, কফি, মাল্টা, কমলা ও লেবা বাগান গড়ে উঠছে।
এসব বাগানে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন বিনোদন পিপাসুরা। ফলে বিনোদনের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এসব এলাকা।