২০২২-১০-২৬ ০৯:০০:৩৪ / Print
সিলেটের বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছয়ফুল ইসলাম (২৮) নামের যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মারা যান ছয়ফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা হয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলা। পুলিশ উভয়পক্ষের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। চড়চন্ডি গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চড়চন্ডি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ছয়ফুল ইসলাম মারা যান।
বুধবার ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, চড়চন্ডি গ্রামের আব্দুল আজিজ মুন্সি ও নূরুল আমিন পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এসময় গুরুতর আহত হন আব্দুল আজিজ মুন্সি পক্ষের ছয়ফুল ইসলাম। পরে তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষকালে নারীসহ উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- আব্দুল আজিজ মুন্সি পক্ষের কমরুন নেছা, বদরুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম এবং নূরুল আমিন পক্ষের নূরুল আমিন ও নূরুল ইসলাম। এদিকে, আব্দুল আজিজ মুন্সি পক্ষের ছয়ফুল নিহতের ঘটনায় বুধবার তাঁর বাবা হাফিজ আব্দুল মান্নান প্রতিপক্ষের ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা (নং-১৪) করেছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- পৌর এলাকার চড়চন্ডি গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে নূরুল আমিন ও নূরুল ইসলাম, নূরুল ইসলামের ছেলে সেবুল মিয়া এবং দৌলতপুর ইউনিয়নের আনরপুর গ্রামের আপ্তাব আলীর ছেলে সুন্দর আলী। অভিযুক্তদের মধ্যে থানাপুলিশ নূরুল আমিন, নূরুল ইসলাম ও সুন্দর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
অপরদিকে, আব্দুল আজিজ মুন্সি পক্ষের ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে নূরুল ইসলামের স্ত্রী আমিরুন নেছা মামলা (নং ১৫) দায়ের করেছেন। এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- পৌর এলাকার চড়চন্ডি গ্রামের হাফিজ আব্দুল মান্নানের ছেলে (নিহত ছয়ফুলের ভাই) বদরুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম, আকবর আলীর ছেলে কদর আলী, আব্দুল লতিফের ছেলে হাফিজ আব্দুল মান্নান ও আব্দুল আজিজ মুন্সি। এদের মধ্য থেকে বদরুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম ও কদর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান জানান- পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে। অন্যটি অপর পক্ষ থেকে। দু’পক্ষের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।