২০২২-১০-১৯ ০৬:০২:০৫ / Print
ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনার নিয়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডে আসা ‘এমভি ট্রান্স সমুদেরা’ নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে। ভারতের উত্তর-র্পূবাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে পরিবহণ করে নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনার সমেত আজ বুধবার ( ১৯ অক্টোবর) 'এমভি ট্রান্স সমুদেরা' নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বাংলাদেশের ভূখন্ড হয়ে ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘এমভি ট্রান্স সমুদেরা’ গত ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, কার্গোর এ চলাচল ২০১৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য ‘ট্রায়াল রানের’ অংশ। এ ট্রায়াল রানসমূহ টাটা স্টিল এবং সিজে ডার্কল লজিস্টিকস লিমিটেড ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে পরিচালনা করছে।
চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে। এগুলো হলো- চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর এবং এর বিপরীতে চারটি রুটে।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি)’ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রথম ট্রায়াল রান ২০২০ সালের জুলাই মাসে সফলভাবে পরিচালিত হয়েছিল। তখন চারটি কন্টেইনার, দুটি টিএমটি স্টিল এবং শস্যদানা, কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় পাঠানো হয়েছিল।
ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, এ চুক্তির অধীনে পণ্যের ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনের খরচ এবং সময় উভয়ই কমিয়ে দেবে। এটি বাংলাদেশের লজিস্টিকস এবং সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির (বিমা, পরিবহন এবং ফিন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি) জন্য অর্থনৈতিক লাভও সৃষ্টি করবে। কেননা ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের ট্রাক ব্যবহার করা হবে।
এ ট্রায়াল রানটি চুক্তির অধীনে সব অনুমোদিত রুটে সব ট্রায়াল রানের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করে। মোংলা-তামাবিল-ডাউকি, মোংলা-বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর এবং চট্টগ্রাম-শেওলা-সুতারকান্দি রুটে ট্রায়াল রানসমূহ পরিচালিত হয়। ট্রায়াল রানের এই সমাপ্তির পরে, চুক্তিটির অধীনে পণ্যের নিয়মিত চলাচলকে কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল স্থায়ী আদেশ/বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে এটি একটি অগ্রসর পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেছে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন।