সমরজিৎ রায় চৌধুরীর মরদেহ আজ রোববার রাতে বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে রাখা হবে। আর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হবে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। এরপর রাজধানীর সবুজবাগ শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
এর আগে রোববার বেলা ২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সমরজিৎ রায়।
খ্যাতিমান এই চিত্রশিল্পীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে সুরজিৎ রায় চৌধুরী। সুরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ‘হৃদরোগ আর ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন তার বাবা। গত ৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ১২ সেপ্টেম্বর উনাকে বাসায় আনি। তার তিন দিন পর ১৫ সেপ্টেম্বর আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আজ দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক জানালেন, উনি আর নেই।’
পরিবারের সবাই হাসপাতালে আসার পর শেষকৃত্যসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান সুরজিৎ।
সমরজিৎ রায় চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৭ সালে কুমিল্লা জেলায়। ১৯৬০ সালে তিনি তখনকার সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চারুকলা অনুষদ) থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে স্নাতক শেষ করেন। সেখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসানের মত শিল্পীদের।
স্নাতক শেষ করে চারুকলা অনুষদেই শিক্ষকতায় যোগ দেন সমরজিৎ। ৪৩ বছর সেই দায়িত্ব পালন করে ২০০৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসরে যান। এরপর ২০১০ সাল পর্যন্ত শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির চারুকলা এবং প্রদর্শন কলা বিভাগের ডিন হিসেবে কাজ করেন। চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান।