২০২২-০৮-০২ ১২:০২:০৮ / Print
সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গর্ভবর্তী নারীর আল্ট্রাসনোগ্রাৃ পরীক্ষায় দুটি সন্তান থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে সিজার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু অপারেশনের একটি সন্তান রোগীর স্বজনদের হাতে তুলে দেন তারা। দুই দিন ধরে হাসপাতালে অবস্থান করেও ‘দুটি সন্তানের’ বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্র ভাংচুর করেন রোগীর স্বজনরা।
ঘটনার পর রোগীর স্বজন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ‘সন্তান সংখ্যার’ বিষয়টি আপাতত সুরাহা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বৈঠক শেষে এ সুরাহা হলেও বুধবার আবার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমার তেতলি গ্রামের মাসুদ মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে পানি ভেঙে যাওয়ায় শনিবার ভোররাতে নর্থ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন সকাল ৯টায় তার সিজার করা হয়। এর আগে পরীক্ষা করে একাধিক সন্তানের কথা জানানো হয়।
সিজার করে একটি সন্তান স্বজনদের কাছে দিলে তারা আরেক সন্তান চুরির অভিযোগ করেন। রোগীর আত্মীয়রা জানান, একাধিক সন্তানের কথা বলে সিজার করা হলেও একটি সন্তান দেওয়া হয়। গত দুই দিনে বিষয়টির সমাধান কর্তৃপক্ষ দিতে পারে নি। আজ না কাল বলে সময় নেন।
দক্ষিণ সুরমার থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার জানিয়েছেন, ভুল বুঝাবুঝির জন্য অনাকাঙিখ ঘটনা ঘটেছে। পূর্বে একাধিকবার করা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে একটি সন্তানের কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু শনিবার ভোররাতে ওই নারীর পানি ভেঙে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাৎক্ষনিক পরীক্ষা করে একাধিক সন্তান থাকতে পারে বলে জানানো হয়। মূলত শনিবার সকালে সিজার করে একটি বাচ্চার জন্ম দেওয়া হয়েছে। দুটি সন্তান হয়েছে দাবি করে বিষয়টির সুরাহা না পেয়ে রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল ভাংচুর করে।