২০২২-০৭-২৯ ০১:৩৩:২১ / Print
ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের বিশ্বনাথে সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ২৫০কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৬০টি সেতু ও কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রায় ১৯কিলোমিটার ছাতক-সিলেট রেলপথ লন্ডভন্ড হয়েছে।
বানের স্লোতে পানির উত্তাল ঢেউয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে সড়ক ও সেতু। এছাড়াও গ্রামীণ রাস্তাঘাটও একেবারে বিলীন। গত ১৬ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত বিশ্বনাথে সর্বকালের ভয়াবহ বন্যায় পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়। ডুবে যায় বাড়িঘর রাস্তাঘাট।
সিলেট জেলা শহরের সঙ্গে সারাদেশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অভ্যন্তরীণ সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। বানের জলে সড়ক যেমন ডুবেছে, তেমনি প্রবল স্রোতে কোথাও ভাসিয়ে নিয়ে গেছ। একই সঙ্গে ভেসে গেছে, সেতু, কালভার্ট।
এমনকি এই বন্যায় সবচাইতে উঁচু রেলপথকেও লন্ডভন্ড করে ফেলছে। উপজেলার ভেতরে থাকা সিলেট-ছাতক রেলপথের স্লিপারের নিচের মাটি ও পাথর সরে গিয়ে খালে পরিণত হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যার ক্ষত চিহ্ন।
ভয়াবহ ক্ষত নিয়ে জেগে ওঠছে সড়ক। তবে এই অবস্থায় কতদিন দুর্ভোগ পোহাতে হবে জানেন না পুরো উপজেলাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথে ভয়াবহ বন্যায় তছনছ হয়েছে মানুষের ঘরবাড়ি ও মাছের খামারের পাশাপাশি ২৫০ কিলোমিটার এলজিইডির পাকা সড়ক আর ৬০টি ব্রিজ কালভার্ড। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হয়েছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা।
উপজেলার গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগসহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সব সড়কের ওপর দিয়ে ঢেউ খেলেছে ৪/৫ ফুট পানি। কোনো সড়কে ছিল প্রায় কোমর সমান পানি আবার কোনো কোনো সড়কে তার চেয়েও বেশি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছিল।
বন্যার সময় এসকল পাকা সড়ক দিয়ে নৌকা চলতেও দেখা গেছে। ফলে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সড়কেরই চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে লামাকাজী, খাজাঞ্চি, অলংকারি, রামপাশা, দৌলতপুর, দশঘর, বিশ্বনাথ ও দেওকলস ইউনিয়নের সকল গ্রামীণ সড়ক ও ব্রিজ কালভার্ডের অবস্থা একেবারে নাজুক অবস্থা।
সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলার ভেতরে থাকা সিলেট-ছাতক রেলপথের স্লিপারের নিচের মাটি ও পাথর সরে গিয়ে খালে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বন্যায় মাটির সড়ক থেকে নিচে পড়েছে গেছে রেল লাইন।
প্রায় ১কিলোমিটার রেলপথ হেটে দেখা যায় প্রায় শতাধিক স্থানে খালেরমতো ছোট বড় ভাঙন রয়েছে। সিলেটের রেল প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সিলেট-ছাতক রেলপথ রয়েছে ৩৩ কিলোমিটার।
তারমধ্যে দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও ছাতক তিনটি উপজেলায় বন্যার পানিতে প্রায় ১৯ কিলোমিটার রেলপথ লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। তিনি এই ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তার উর্ধতম কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, এবারের বন্যায় উপজেলার প্রায় ১০০টি পাকা সড়কের ২৫০ কিলোমিটার ও ৬০টি ব্রিজ কালভার্ডের চরম ক্ষতি হয়েছে। তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এসকল ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ব্রিজ কালভার্ডের তালিকা পাঠিয়েছেন বলেও জানান