২০২২-০৭-২৬ ০৬:৫১:৫২ / Print
সিলেটের ওসমানীনগরে অচেতন অবস্থায় পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অচেতন অবস্থায় যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর বাজারের মঙ্গলচন্ডি রোডের বাসার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ওই ৫ প্রবাসীকে উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতরা হলেন- রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে মাহিকুল ইসলাম (১৬)।
আর অসুস্থ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), তার ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) ও মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)-কে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ১২ জুলাই ওই পাঁচজনের পরিবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন। ৬ দিন ঢাকায় অবস্থানের পর ১৮ জুলাই তারা তাজপুরের ওই বাসা ভাড়া নেন।
এসময় প্রবাসীদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন রফিকুল ইসলামের শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালকের স্ত্রী। সোমবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে সবাই নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে যান।
আজ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রবাসীদের কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে রফিকুল ইসলামের শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালকের স্ত্রী ডাকাডাকি করেও তাদের সাড়া পাননি। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে তারা পুলিশে খবর দিলে সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে ৫ প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরে তাদের দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করলে রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাহিকুল ইসলাম বেলা ২টার দিকে মারা যান। অসুস্থ তিনজন ওসমানী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তবে রফিকুল ইসলামের বাসায় বেড়াতে আসা তাঁর শ্বশুর আনফর আলী (৭০) শাশুড়ি বদরুন্নেছা (৬৫),
শ্যালক দেলোয়ার হোসেন (৪০), শ্যালকের স্ত্রী শোভা বেগম (৩০), শ্যালকের মেয়ে সাবিলা বেগম (৮) সুস্থ আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদিকে, খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। পরিদর্শনকালে তিনি জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর দুটি টিম রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।