কোম্পানীগঞ্জের পল্লিতে আগুনে পুড়ে গেছে একটি বসতঘর। সাথে পুড়েছে ঘরের আসবাবপত্র, টাকাকড়ি সবকিছু।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার উত্তর ঢালারপাড় গ্রামের পল্লি চিকিৎসক আলালের ঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা ও ঢেউ টিন প্রদান করেছেন।
জানা গেছে, দুই ছেলে সাইমন, শাওন ও স্ত্রী শারমিনকে নিয়ে নিজ বসতভিটায় থাকতেন আলাল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর বসতভিটায় আগুন লাগে। এতে আলালের ঘরের আসবাবের সঙ্গে কষ্টে জমানো সাড়ে ৩ লাখ টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী আলাল বলেন, 'আগুনে আমার সারা জীবনের কামাই পুড়ে গেছে। সংসারটা ঠিকমতো চলছিল না। তাই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য টাকা জমাইছিলাম। আমার জমানো সব টাকা পুড়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া এখন আর কিছুই নেই।'
আলাল আরও বলেন, 'নিজ ঘরেই ওষুধের দোকান ছিল। ওষুধ বিক্রি করে যা পেতাম, সব জমিয়ে রাখতাম। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু আমার ওই কষ্টের টাকা সব পুড়ে গেল। এখন আমার সবকিছু শেষ। থাকব কোথায়, খাব কী, কিছুই জানি না।'
আলালের জামাতা শাহাব উদ্দিন বলেন, রাতে বেশ কয়েকবার বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। তখন বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী আফসানা ও ছেলে আমিনুলও ওই ঘরে ছিল।
আলালের ছেলে শাওন জানায়, 'রাত ৪টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও আমরা আগুন নেভাতে পারিনি। ঘরের সবকিছু পুড়ে শেষ হওয়ার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কীভাবে আগুন লাগল কিছুই বুঝতে পারছি না।'
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলম জানান, আগুন লাগার সময় ঘরের সবাই ঘুমাচ্ছিল। আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভাঙে। আলালের ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে। এতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তাঁর।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং বলেন, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘর মেরামতের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা ও দুই বান্ডিল টিন আলালকে দেওয়া হয়েছে।