টানা কয়েকদিন কড়া রোদের কারণে বাড়ছে গরমের তীব্রতা, এরমধ্যে মাঝে মাঝে বৃষ্টি তো আছেই। এমন পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় সিলেটজুড়ে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে টান্ডাজনিত রোগ। ঘরে ঘরে জ¦র-সর্দি-কাশি যেন এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। হাসপাতালগুলোর আউটডোরে বাড়ছে টান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ করেই সিলেটসহ দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে উপসর্গ থাকলেও করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ নেই মানুষের। অনেকের সর্দি-জ¦র-কাশি সাধারণ ঔষুধ সেরে গেলেও কারো কারো ক্ষেত্রে সেবন করতে হচ্ছে এন্টিবায়েটিক ঔষুধ। চরম ঝুঁকিতে আছেন শিশু, বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত দুর্বলেরা।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ১৭ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ডায়রিয়া সহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৬ জন। এরমধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, সিলেট জুড়ে আষাঢ় মাসে চিরায়ত দৃশ্য এই রোদ, এই বৃষ্টি। আবহাওয়ার পাশাপাশি হঠাৎ পরিবর্তন ঘটছে তাপমাত্রার। আর এতেই বাড়ছে জ্বর-সর্দি। সিলেট শহর থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি দেশে ভাইরাল ফিভারের পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণেরও নতুন ঢেউ প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় করোনা না ডেঙ্গু, নাকি মৌসুমি জ্বর এ নিয়ে দ্বিধায় রোগী ও তার স্বজনরা। চিকিৎসকরা বলছেন, এই মুহূর্তে জ্বর এলে বাসায় বসে থাকার সুযোগ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করাতে হবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখন ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে দিনের বেলায় প্রচুর গরম, আবার তার ভেতরে হঠাৎ বৃষ্টি চলে এলো। কেউ কেউ একটু বৃষ্টিতেও ভিজল, ফলে হঠাৎ প্রচুর গরম থেকে শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। তাছাড়া বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে ফিরে অনেকে বাসায় বা অফিসে গিয়ে এসির নিচে বসে যান। এরমধ্যে যোগ হয়েছে লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনা। তীব্র গরম, হঠাৎ ঠান্ডার সংমিশ্রণের কারণে জ্বর-সর্দি চলে আসতে পারে। জ্বর-সর্দিতেই যদি কোভিড আর ডেঙ্গুর পরীক্ষাটা করে ফেলা যায়, তাহলে শঙ্কা কেটে যাবে। শুরুতেই যদি পরীক্ষাটা করে নেয়া যায়, তাহলে পরে জটিলতার শঙ্কা থাকেনা।