সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইট দিয়ে বৃদ্ধা হত্যা মামলার আসামি সুমন আহমদকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রামের খুলশী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ। গ্রেফতাররকৃত আসামী সুমন আহমদ উপজেলার বাঘার সোনারটুল গ্রামের ওয়াজিদ আহমদের ছেলে। ঘটনার ১৬ঘন্টার মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এর আগে বুধবার রাতে এ ঘটনার পর নিহত বৃদ্ধার ছেলে সাকেল আহমদ বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং-১৩/২২) করেন।
জানা যায়, সোমবার রাতে সিএনজি অটোরিকশা চালক ছমির উদ্দিন (১৮) তার গাড়ি নিয়ে পরগনা বাজারে যাওয়ার পথে সড়কে গর্ত থাকার কারণে গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে ময়লা পানি পথচারী সুমন আহমদের (২৬) শরীরে পড়ে৷ এসময় সুমন আহমদ সিএনজি অটোরিকশা চালক ছমির উদ্দিনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে চর থাপ্পড় মারে। মঙ্গলবার রাতে বাঘার এখলাছপুর ব্রিজের উপর আবারো তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুমন আহমদ আবারও ছমির উদ্দিনকে গালাগালি করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ছমির উদ্দিনের মা আওয়ারুননেছা বাড়ি থেকে বের হয়ে ঝগড়া থামাতে গেলে সুমন আহমদ ইট দিয়ে আওয়ারুননেছার বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ইটের আঘাতে আওয়ারুননেছাকে গুরুতর আহতবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর চট্রগ্রামে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সুমন আহমদ। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্রগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতারের পর থানায় নিয়ে আসে। জানতে চাইলে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) পরিত্রান তালুকদার বৃহস্পতিবার রাতে জানান, ঘটনার পর প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে জোর প্রচেষ্রা চালানো হয়। অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তাকে এখন বিচারের মুখোমূখি করা হবে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন ঘটনার ১৬ ঘস্টার মধ্যে অভিযুক্ত সুমন আহমদকে চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।