২০২২-০৬-১৪ ১১:৪৬:৫৪ / Print
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ ১১ জনকে আসামি করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ নং ধারা এবং মানি লন্ডারিং আইন ২০১২ এর ৪ ধারাসহ দন্ডবিধি ৪০৯/১৬১/২২১/২১৭/১০৯ ধারায় সিলেটের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল বরাবরে মামলা দায়ের করা হয়েছে ( মামলা নং-৩/২০২২)।
সোমবার (১৩ জুন) গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ণানগর গ্রামের মো. ইনসাদ হোসেন রাজীব বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন। মামলায় ৬ সরকারি কর্মকর্তা এবং ৫ স্থানীয় প্রভাবশালীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে বিচারক মশিউর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাহমিলুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল,
পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর, এসআই মো. জহির মিয়া, ভূমি অফিসের তহশিলদার প্রনব কান্তি দাস, উপজেলার চারগ্রাম এলাকার ললনী দাসের ছেলে সুবাস দাস, লেঙ্গুড়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে গোলাম কিবরিয়া রাসেল,
একই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে গোলাম সারোয়ার, মৃত ইরফান আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান ও উপজেলার বাউরভাগ হাওর গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে আব্দুর রউফ কালু।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মামলার বিবাদিগণ খনিজ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা( ০১/০৯/২০১৬ ইং) অমান্য করে ইজারা ব্যতিত বালু মাটি,পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন করে সরকারের এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করেছে।
সেইসাথে আসামীদের অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীভঙ্গন সৃষ্টি হয়ে জাফলং চা বাগান, বাউরভাগ ও বাউরভাগ হাওর, পূর্নানগর, বুদিগাঁও, বল্লা, বাংলাবাজরসহ বিশ কিলোমিটার এলাকা নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় জনগণ প্রতিবাদী হয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করলে স্থানীয় প্রশাসন মামলা ও গুমের ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাদী।