রবিবার, ৫ মে ২০২৪ইংরেজী, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

শিরোনাম : উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হলেন ডা শাহানা ফেরদৌস বিয়ানীবাজারে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে গ্যাস সংকটে বন্ধ শাহজালাল সার কারখানা, চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে বিসিএ'র মতবিনিময় সুরমা টাওয়ারের ১৩ তলা থেকে পড়ে সিসিক কর্মচারীর মৃত্যু সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. খলিলুর রহমানের গণসংযোগ সিলেটে আজ থেকে শুরু হচ্ছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ইসি আনিছুর রহমান: নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ সহ্য করা হবে না ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহবান জানালেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ-ভারতের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব পারস্পরিক বিশ্বাসের

সিলেট সান ডেস্ক:

২০২২-০৬-১১ ১১:৪৩:২৯ /

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাসের। ঐতিহাসিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের উন্নয়নের ভারতের অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে। কেউ কেউ বাংলাদেশ-ভারতের এই সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

শনিবার (১১ জুন) দুপুরে সিলেটে ধোপাদিঘীর পাড় ওয়াকওয়ে সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

ভারতীয় সরকারের অর্থায়নে ৩টি প্রকল্প সিলেট নগরের ধোপাদিঘীর পাড় উন্নয়ন, সৌন্দর্য বর্ধন; ক্লিনার্স কলোনী ও চারাদিঘীর পাড়ে স্কুল ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি চাইলেই প্রতিবেশির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারবেন না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহাবস্থানের নীতিতে বিশ্বাস করতেন। এই শিক্ষা হাদিসেও আছে।

তিনি বলেন, আগে দারিদ্রতা ছিল, কিন্তু সম্পর্কের সহাবস্থানের কারণে আমরা ভাল ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত; মাঝে মাঝে কিছু লোক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে। তাই আমাদের সচেতন থাকার দরকার, যাতে এ ধরণের লোক আমাদের দেশকে শেষ করে দিতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়ে উন্নত বিশ্বের দিকে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে বড় বড় কয়েকটি কাজ হয়েছে। বিশেষ করে ছিটমহলে বিরোধপূর্ণ ভূমির সমস্যা সমাধান হয়েছে। এ থেকে ভারত পেয়েছে ৭ হাজার একর, আর বাংলাদেশ পেয়েছে ১৭ হাজার একর। এখানে ভারত বড় ধরণের ছাড় দিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য প্রতিবেশী। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা সুন্দর, আত্মবিশ্বাসের- দেনা পাওনাটা বড় কথা নয়। ৭১ সালে তারা আমাদের উপকার করেছে। রাশিয়াও আমাদের পাশে ছিল। তাই তাদের উপকার করতে না পারি শত্রুতা করবো কেনো? আমরা আমরা তাদের কৃতজ্ঞতাবোধের কথা ভুলে যাবো কেনো? তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নেতিবাচক হিসেবে দেখা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, সিলেটে ভারত সরকারের এই প্রকল্পগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে। প্রতিবেশি বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সাথে বাংলাদেশে ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।

তিনি বলেন, ইন্ডিয়া-মায়ানমার-থাইল্যান্ড মিলে ইন্টারস্ট্যাট হাইওয়ে হচ্ছে। সেই হাইওয়েতে বাংলাদেশও সম্পৃক্ত হচ্ছে। সেই রোডটি হবে ভারত-মায়ানমার-বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড। আমরা ভারতকে বলেছি- আমাদেরকে যুক্ত করতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেটা গ্রহণ করেছেন। সিলেটের তামাবিলের এই রাস্তার সাথে যুক্ত হবে। এরইমধ্যে ওপাশে ভারত ৪ লেন সড়ক করে ফেলেছে। আমরাও সড়ক সম্প্রসারণ করবো। এটি বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচিত হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সিলেটে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরী করছি। এটা হলে পাশ্ববর্তী দেশের মানুষও সুবিধা নিতে পারবেন। তিনি সিলেট পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের স্থলে উদ্যান করা এবং বঙ্গবন্ধু সেলকে জাদুঘরে রূপান্তরের কথা তুলে ধরেন।

 

বাংলাদেশ ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের পথ ধরে দুই দেশের বানিজ্যিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দ্বোরাইস্বামী। তিনি সময়মতো প্রকল্প সমূহের বাস্তবায়ন হওয়ায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানান।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের উন্নয়নে ভারত সরকারের এই প্রকল্পসমূহ মাইলফলক হয়ে থাকবে। ধোপাদীঘি উদ্ধার ও সংরক্ষণ সংস্কারের ফলে সিলেট মহানগরের অন্যতম স্মারক রক্ষা পেল। সিসিক মেয়র সিলেটের উন্নয়নে অংশীদার হওয়া ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

কাশমির রেজা ও ফাতেমা রশিদ সাবার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন শেখঘাট সমজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. ছাদিকুর রহমান, গীতা পাঠ করেন সুধাময় চক্রবর্তী, বাইবেল পাঠ করেন ফাদার ডিকন নিঝুম সাংমা এবং ত্রিপিটক পাঠ করেন সংঘানন্দ থেরো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মিসবাহ উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশাররফ হোসেন, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জসওয়াল, ভারতীয় হাই কমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক ও তথ্য) অনিমেষ চৌধুরী, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) বিধায়ক রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব নূরে আলম সিদ্দিকী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম, কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, কাউন্সিলর আজম খান, কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর আব্দুল মোনিম, কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ. কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, এসএম শওকত আমীন তৌহিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে ধোপাদিঘীর পাড় উন্নয়ন, সৌন্দর্যবর্ধন এলাকা ঘুরে দেখেন অতিথিরা। এরপর অতিথিবৃন্দ নগরের হাফিজ কমপ্লেক্সে সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত আবুল মাল আব্দুল মুহিতের চেহলাম অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

উল্লেখ্য , এই প্রকল্পগুলি ভারত সরকারের অর্থায়নে ২০১৭ সালে ভারতীয় হাই কমিশন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত “সিলেট সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা ও উন্নত পরিবেশের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ” শীর্ষক সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়িত করেছে। তিনটি প্রকল্পই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং ভারত সরকারের অর্থায়নে সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার অধীনে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের অংশ। এ তিন প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

 

এ জাতীয় আরো খবর

ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, সিসিকের জরিমানা

ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, সিসিকের জরিমানা

 পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করলেন আনোয়ারুজ্জামান

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করলেন আনোয়ারুজ্জামান

 পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করলেন আনোয়ারুজ্জামান

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সস্ত্রীক দেখা করলেন আনোয়ারুজ্জামান

দায়িত্বগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত, মেয়র'র কৃতজ্ঞতা

দায়িত্বগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত, মেয়র'র কৃতজ্ঞতা

কয়েল, মশারি কিছুই মানছে না মশা

কয়েল, মশারি কিছুই মানছে না মশা

শুরুতেই সুসংবাদ: প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের

শুরুতেই সুসংবাদ: প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের