২০২২-০৬-১১ ০৯:২৫:৫২ / Print
সিলেটের বিমানবন্দর মালনিছড়া চা বাগান এলাকায় ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামকে (৪২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে ম একজন দায় স্বীকার করেছে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামি লিমন মিয়া আদালতকো জানিয়েছেন পূর্ব শত্রুতার কারণে মনিরুলকে খুন করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জের গাগুয়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে সোহেল আহমদ উরফে বাটার সোহেল, এয়ারপোর্ট থানার সাহেবেরবাজার এলাকার বদনছড়া গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া, এয়ারপোর্ট থানার বন্ধন-এফ-১০ নম্বর বাসার হেলাল আহমদের ছেলে সাহেল আহমদ নয়ন ও তার ভাই রিপন আহমদ সেলিম।
আদালতে একজনের দায় স্বীকারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের। গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার মালনীছড়া চা বাগানের এমডির বাংলোর পাশের ড্রেইন সংলগ্ন চা বাগানের ভেতর থেকে মনিরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বড়শালা এলাকার আহমদ হাউজিংয়ের নুরুল ইসলামের ছেলে ও নগরীর খাসদবির এলাকার একটি ওয়ার্কশপের মালিক ছিলেন। ৬ জুন মনিরুলের স্ত্রী হেনা বেগম বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খুনের ৫ দিনের মাথায় পুলিশ জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরমধ্যে লিমন নামের আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির জানিয়েছেন, খুনের পর প্রাথমিকভাবে ক্লু উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করলে একজন দায় স্বীকার করে। বাকি ৩ জনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে আজকালের মধ্যে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হবে।